স্নাতকোত্তর ও অন্যান্য

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

স্নাতকোত্তর

ও মাষ্টার তুমি কি ঈশ্বর যে প্রতিদিন আমাদের নাম ধরে ডাকো, আমরা এক এক করে এগিয়ে যাই। বসে থাকি পেছনের বেঞ্চিতে হাত তোলা মহাশতাব্দীর অলস ছাত্র। ঘসে মেজে স্নাতকোত্তর তবু ধুলো গেল না, তবে কি তুমিই আমার স্নানের জ্ঞানে ধুলো ছড়াও?

ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বেড়ার ফাঁক দিয়ে শিখেছি ধোঁপাবাড়ির কালো গোলাপ কেমন করে ফর্সা হবার সূত্র মাখে। আষাঢ়, শ্রাবণের সাথে দেখা করেছি প্রকাশ্যে, ছন্দ যতটুকু শিখেছি তাই নিয়ে সন্ধ্যে অবধি বসে থাকি। জোছনাখেকো ঢেউ, আমার পাশের বাড়ীর নদীতে নাভী ধুয়ে যায়- মাষ্টার, জোড়াচোখে ছাঁনি পরিয়ে দাও।

ডুবুরীরা সব জল পান করে ঘুমিয়ে পড়েছে। আমার ফুসফুসে প্রচন্ড বাতাস, শ্যামের দেহ জাগানিয়া বাঁশিতে ফুঁ দিতে চায়। এত দায়ের মাঝে আমাকে কেন জলবাহকের কাছে পাঠিয়ে দাও, আমি কি উঁচু চূড়ায় বসে রূপপানরত মেয়েদের ধুঁয়ে দিতে পারি ধুলোমাখা এই স্নাতকোত্তর দেহ নিয়ে!

দেহ ঘষা আগুন

স্মরণকালের আগে থেকে দেহ ঘষা আগুনে পুড়ছি। মাঝখানে খসে গ্যাছে অজস্র ঘড়ির পেন্টালুন। আমাকে দখল করে নিয়েছে বর্ণ-ছন্দ, তরুতৃণ, সান্ধ্যমায়া সবই… অর্থান্তরে সবাই আমার দখলে আসতে চায় বলে এত আয়োজনে এই পৃথিবী নিমন্ত্রণপ্রিয়।

ছয় দোলায় দুলতে দুলতে একদিন দেখি বাউলাঙ্গ নিয়েই ঘুরে চলেছি…ত্রিলোকের ভাবরাশিতে কখনও অন্ধ কীর্তনীয়া, কখনও শব্দহারা। লোকবৃত্তের বাইরে বসে কেন্দ্র খুঁজি, না দেখা তোমার ইমেজ বিলি করি ফটোশপে গিয়ে, কেবল আত্মজয়ের লোভে। আকাশে কিংবা দৃশ্যের গায়ে ফসফরাসের মত যতটুকু অস্তিত্ব বুঝিয়ে যাও তা-ই কেবল স্বরূপের সাথে যুক্ত করি, প্রান্তরসে তলিয়ে যাওয়া নিজেকে ভাসাই তোমার আশাতীত আশ্বাসে।

এমন রূপেলা তুমি প্রতিদিন কেন আকাশের নক্ষত্রখচিত বেডশিটে ঘুমাও…নৈমিত্তিক ঘাসের উপর টুকরো টুকরো তুষারবিন্দু জাগিয়ে রেখে…?

মন্তব্য: