মোমরঙ চিত্রকলা ও অন্যান্য

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

মোমরঙ চিত্রকলা

প্রত্যক্ষ করি ছড়িয়ে ছিটিয়ে অসংখ্য রঙের কৌটা আর পরিত্যক্ত তুলি…। বিশাল ক্যানভাসে একটা মৃত নদী ধরে রেখেছে ছোট বড় অথচ অনেক অনেক ঢেউ অথচ স্থির। সেখানে ঘোড়ার কঙ্কালগুলো পড়ে আছে আর মৃতদেহগুলো খেয়ে ফেলেছে মাটি- দেখা যায়, একটা রেলগাড়ী চলে গেছে শ্মশানের ভেতর দিয়ে অন্ধকারের দিকে…। অগণিত মানুষের উত্তেজিত ছায়া কতকাল যেন নড়াচড়া করছে না একচুল। ঝড় শেষের বিধ্বস্ততার মতো একটা সবুজ রেখা চলে গেছে আকাশের দিকে এবং গর্তের মতো অসংখ্য ক্ষতচিহ্ন আকাশের গায়ে- একটা জলপ্রপাত অথচ জলপতনের শব্দ নেই যেন একটা বেশ্যা শুয়ে আছে বেডে’র উপর আর আগুনের শিখাগুলো তুলোর মতো হালকা স্থির হয়ে আছে কমলা হাওয়ায়। মুর্তিগুলো ধ্যানে বসে আছে যদিও সেই ধ্যান ভাঙবে না কোনদিন কারণ ধ্যানের ভেতর মৃত্যু হয়ে গেছে সেইসব শরীরের যাদের দেহকাঠামো গ্রানাইট পাথরে তৈরীÑ অস্পষ্ট নয় একটি মুহূর্তও।

আমরা কখনও কখনও এইসব চিত্রকর্মের ভেতর দিয়ে চলে যাই গভীর জঙ্গলে- রহস্যের জন্ম দেই- কেউ কেউ নিখোঁজ হয়ে যাই প্রাগৈতিহাসিক কালের অন্ধকার মহলে।

কখনও অচেনা রোদ্দুর কখনও কুয়াশা

ফিরিয়ে নাও বাহলগ্না রাতের মধ্যেÑ সাদা এক শূন্যতায় ভরে আছে সমকাল। কি যেন নেই- কে যেন নেই- হারিয়েছি সেই ইমেজ যার উপর ভর করে থাকত এই অস্তিত্বের সাদা-কাল শরীর- রঙিন মুহুর্ত। জীবনের অনেক গল্প কল্পনায় মেঘ হয়ে ভাসে আবার কল্পনায় যে বৃষ্টি বাস্তবে তার রূপটা চিনতে পারি না ঠিক! বোধ- ক্ষয়ে যাওয়া এক অস্থি! অজানার উদ্দেশ্যে উড়ে মরছি- পেছনে তাড়া করে ফিরছে ভীষণ এক প্রেতাত্মা! অলীক সে আর্তনাদ! যদি থাকতে এই মুহূর্তটা হতো সুগন্ধিময়Ñ রঙিন আলোর ফোয়ারায় ভরে থাকত সময়। কেন হাত বাড়ালেই দূরে সরে যাও- কী এক রহস্যের মায়াজাল! মনে হয় চেনা খুব- কখনও অচেনা রোদ্দুর কখনও কুয়াশা।

মধ্যরাতের হাইওয়ে থেকে উঠে আসা শব্দগুলো কেমন ভৌতিক- অন্ধকারে বজ্র-বিদ্যুতের হলুদ বিস্ফোরন- তারপর অনন্তকালের গভীরতা! কেন চোখের মধ্যে ডুবিয়ে রেখে রহস্যের রূপালি রাত- হারালে?

মন্তব্য: