শীত, এসেছো যখন
শহরের দিনগুলো, ধুলোয় রঙিন-
যখন এসেছো হৈম, এসো:
নগদ কিম্বা কিস্তিতে, এসো, প্রতীক্ষায়
দাঁড়িয়েছি তে-মাথায়; শহরেও আছে
তে-মাথা- ভীষণ জমকালো;
সন্ধের ডানায় ভর করে, ধীরে এসো-
টুকরো স্তব্ধতা আর মিনিটকার্ডে তৈরি
বর্মের ভেতর- এসো, কবিতার মতো;
রূপ-রস-গন্ধহীন শহুরে ভালোবাসায়
উড়ে যেতে যেতে, স্বপ্নের ভেতর
এসো, যেভাবে আসতে- আদুল শৈশবে;
সারারাত মৃত্যুর ভেতর, মহাসমারোহে
আসতেই পারো, হৈম: সীমান্তের ট্রেনে
চোখে মেখে হলুদ বিস্ময়-
বাস্তুশাস্ত্র
বৈদিক আগুন; পুথি থেকে উড়ে এসে বলছে: অধীনতার বয়স বাড়ছে; তারপর গভীর নিদ্রায় এলিয়ে পড়ছে অরণ্য, মানুষ এবং সাম্রাজ্যের অলিগলি; ভস্মের আঁধার থেকে- কারও কারও মর্মে, হয়তো বা, লেলিহান অঙ্কুরিত হচ্ছে, কিন্তু দেখতে পাচ্ছে না কেউ; ভূমিকার আগেই চূর্ণ হয়ে যাচ্ছে সকল আরতি! প্রশ্ন হলো- কৌশল উজিয়ে কোনও ধারণা-ই কি মান্যতা পাবে না?
বস্তুত, হিমায়িত স্বপ্নের ভেতর- বধির সকলে; তীব্র এই শীতে আগুনের বিচ্ছুরণ পেতে সমুদ্রসঙ্গম ভীষণ জরুরি…