মৃত্যু-সম্পাদনা- ১
রাত-দিন খুঁটে খাই মৃত্যুর মহিমা
এদিক-ওদিক করে দেখাই
একচোখা ভুবনে দুইচোখা আমি
গড়িয়ে পড়তে থাকি কুমারী যোনীতে
বীজতলার ফাটল থেকে উদ্বোধিত
দুটি হাতে সে গজিয়ে ওঠে
কিছুতেই ফিরে যেতে পারিনা জঠরে
পারলে আবার অন্ধকার হয়ে
জন্মাতাম দুচার হাজার বছর আগে
তার আগেই আমার আত্মা ছড়িয়ে গেলো
যুদ্ধের শিশ্ন আর সভ্যতার গুজবে
সঙ্গে চলো প্রাণভোমরা
জানো হে অন্ধজন, আমার এই রাতলিপি
আকাশ ফুরিয়ে এলো, আরো কোন্
কৃষ্ণচূড়া দাঁড়ালো তার উদাত্ত কামনা নিয়ে
তুমি অন্ধ, যেটুকু অন্ধকার দেখো
ক্ষত-বিক্ষত নাসপাতির ভেতর থেকে
আমার সেটুকুই চাই।
উন্মূল আলোকায়ন বধির ধারণা দিয়ে
গেছে আমার মদ্যপ শরীরে;
জল ডোবায় মগ্ন দিগন্ত আমাকে ফিরিয়ে
দিয়েছে রাতের কোলাহলে।
এখন আমার ডানদিকে স্খলিত, বাম
দিকে ঊনমানুষ মাঝখানে রক্তশূন্য গাত্র
বাঁশপাতার ফাঁকে দেখা দেয়া দিগন্ত
কোনো শিক্ষক খোঁজেনা- মিলিয়ে
যাওয়ার তৎপরতা নিয়ে ফের উঠিবে ভেসে।
তখনও অন্ধকার এক মহান শিক্ষক