পাখিদের শবযাত্রা
পরিত্যক্ত কান্নার জল ছুঁয়ে গেলে শার্টের আস্তিন
কি হবে পাখিদের পুনর্বাসনের শ্লোগান তুলে?
কি হবে বদলে যাওয়া
হিমাংকের জল, জলচক্র আর
আকাশের নীল পৃষ্ঠায় মেঘের উৎসবে?
ঠোঁটের অব্যক্ত বাণীও বাষ্প হয় বদলানো ভাষায়।
পাখিদের শবযাত্রায় অশ্রুর শোকে
কীভাবে শোনা যাবে রকমারী পালকের গান?
নির্মম বধিরতায় কীভাবে শোনা যায় জলের দুঃখলিপি?
বিষণ্ন ঝিনুকের গল্প
বিষণ্ন ঝিনুকে জিইয়ে রাখা কবিতার ঘ্রাণ ছড়াতে পারি না কোথাও। তাই মাটির মানচিত্রে বপন করি শূন্যতা। দু’পায়ের স্বপ্নগুলো জড়িয়ে রাখি বৃদ্ধাঙ্গুলি ডগায়।
বিষণ্ততা ভাঙতে হাত বাড়ালেই তোমার চোখে জ্বলে বনিক আগুন। পুড়ে মরে ঘাসফড়িং, পাখিদের আবাস। আর তুমি, হাতে হাতে ঝুলিয়ে দাও ব্যাগভর্তি ঋণের দলিল। ধারালো যাতির নীচে টুকরো করো মানবতার মানপত্র।
দগ্ধ মায়ায়
অন্ধকার না জেনে আলোর সাগরে ডুব দিলে ইচ্ছেরা মরে যায়
পাহাড়ী রাতের চূড়া ছুঁতে বাড়তে থাকে জীরাফ-গ্রীবা
দগ্ধ চিতায় পোড়ে আলোর মায়া
আমাদের ইচ্ছেগুলো বেঁচে থাকে বিরহ ভাবনায়
রোদকণা মিশে থাকে হিমকুয়াশার ভীড়ে…