শেষ সোনার আপেল
১.
শেষ সোনার আপেল নিয়ে সে
মিলিয়ে গেল সূর্যাস্তে। কেউ চেয়ে থাকে তার নির্জনে, কেউ তার মুখে।
ভোজসভার অনন্ত কোলাহলে ছুরিখানা
খসে পড়ে হাত থেকে।
বাইরে শীতের হাওয়ায় আয়ু ভেসে যায়, তার মুখ চেয়ে আয়ু ভেসে যায় আমাদের।
সূঁচবিদ্ধ আঙুলগুলো অযুত রাত্রি হয়ে
ফুটে থাকে ভোজের টেবিলে।
নেই তার সোনার আপেল, নেই তার ছুরিখানা।
এতসব কোলাহলে বড় দীন হয়ে আছি!
প্রতিটি চুমুক শেষে ভেসে ওঠে শতমুখ।
২.
হায়! শীতের শরীর থেকে কে খুলে নিল বাবার গায়ের শাল! তার শ্রীমন্ত মধুর মায়া। তুমি অশ্ব খুড়ের খেদ থেকে বানিয়েছিলে মায়াপুর, আজ কোনদিকে তোমার ত্রিতাল বাজে, বেহাগ বাজে, বলো, আমি নগরের সুগন্ধ ধুপের সন্ধ্যা ছেড়ে চলে যাব সেই নির্বাসনে। আমাকে ভর্ৎসনা করো পাখি, পিঙ্গল পানিণি, আমাকে মৃত্যু দাও। আমি কোন সোনার রথ ছেড়ে পড়ে আছি ধুলোয়!
৩.
আমাদের যেদিন সবুজ বাড়িটা কেনা হলো, ভুল বসন্তের দিনে, তুমি সন্ধ্যা স্বভাবের কিছু জারুল এঁকে অদৃশ্য হয়ে রইলে সমস্ত বাড়িজুড়ে।
এখন ঘরে ফিরি সন্ধ্যেবেলা, খোলা দরজা, ডোর বেল বাজাই তবু। সমস্ত ঘর জুড়ে, বিষণœ করবী, শুধু তোমার গুঞ্জন!