সে
কমলা সদৃশ এক বৃহৎ লাটিম
ঘুরতে ঘুরতে
ছুঁয়ে যায় আপন অক্ষরেখা, আর
আরেকটি বছরে পা পড়ে তার।
প্রচল দশক তাকে রেখেছে ব্রাকেটবন্দি
একটি বিশেষ কোঠায়…
একটি দেশের সমান বয়েসী
একই লগ্নে দেখা দেয়
উভয়ের জন্মের প্রথম শুভক্ষণ!
তখন
একজন রাষ্ট্রীয় উল্লাসে মাতে
নিজেকে নতুন ক’রে দ্যাখে অন্যজন
সমান সচল তার দুই হাত
হয়তো চলবে আরও বহুদিন :
এক- দুই- তিন… দশক দশক
দশক-দর্শক তবু শূন্যেই দেখবে তাকে!
তেপান্তরের রাজকুমার
তেপান্তর পেরোবে বলে রাজকুমার
সওয়ার হলো পঙ্খীরাজে
তারপর কত বাধা- বিপত্তি
দত্যিদানোর সাথে কত্ত লড়াই!
অবশেষে পাতালের রাজপাসাদে
পাথরে প্রাণ জাগিয়ে হাতে পেল
সোনার কাঠি- রূপার কাঠি…
যদিও মধুর, তবু এ-গল্প পুরনো বড়
আধুনিক বরং এটাই:
কোথাও স্খলন নেই একরত্তি-
যুদ্ধও হলো ধুন্ধুমার;
ওদিকে বুড়িয়ে যাচ্ছে রাজকন্যা
হঠাৎ থমকে দাঁড়ালেন স্বপ্নবান রাজপুত্তুর
সাতাত্তরের মাইলফলকে
তেপান্তরের মধ্যমাঠের ধূলোয়
পা ঠুকছে শূন্যপৃষ্ঠ অস্থির অশ্বদল
পেছনে ফেরার ইতিহাস নেই রাজকুমারদের!