আত্মদর্শন
তোমার কাছে ফিরে যাই মৌচাক
হুল ফোটও বা মধু দাও
ঈশ্বরকে বন্দি করেছি বাফেলো রিং এ
এইবার দীর্ঘ আয়ুর ললাট লিখন, অসুখ-বিসুখ সব করায়ত্ত
ল্যাং মেরে ফেলে দেবো মাটির তৈজস
আর যতো সব আকাশকুসুম- গুহার ভাষণ
আমাকে রুদ্ধবাক করো না, আশা করি প্রেমে ভাটা পড়বে না
কত বাঁধ দিবে গঙ্গায় তিস্তায়
ক্ষেপনাস্ত্রে গুড়িয়ে যাবে যন্তরমন্তর।
শিশুদের হাসি দেখনি
আর দেখনি ক্যাকটাসে রকমারি ফুল, ভুল কিছু নেই
ব্যোম ভোলানাথের মাথায় কাঁঠাল রেখে নাদুসনুদুস
পাঠায় ছুরি চালায়
খাস্তা পরাটায় হুটোপুটি
ধাড়ি মরদেরা মসকরা দেখবে দাড়ি টিকি নাচিয়ে
কবিদের মধ্যে দু’একজন একদিন আলখালা গায়ে দিয়ে বা
কপালে তিলক এঁকে ট্যারা চোখে জপ করতে থাকবে
অসভ্য মন্ত্র
অনেক কিছু করতে গিয়ে হোচট খেয়ে পড়বে ভাগাড়ে
কিংবা গুয়ের নর্দমায়
বাদবাকি সব কতিপয় ধুসগোল্লা সন্দেসে
মাখামাখি করে বলে ফেলবে- ধ্যাৎ!
আগে মানুষ হয়ে নিই; বাকি কিছু পরে হবে
মানুষ তখন হাজার বছরের যুবা-মূক-বধির-অন্ধ-খোড়া
প্রতিদ্বন্দ্বি অথবা তেঠাঙ্গা নয়; উর্বর মস্তিস্কের সাধারণ সমমানুষ