চিঠি
বৃষ্টির পানি বালতিতে ধরে জোর করে গোসল দিতে
আমি কাঁপতে কাঁপতে বৃষ্টির শব্দ শুনে সদ্যজাগা
হৃদয়চরে ভালবাসার কাঁশ ফোটাতাম
সেই থেকে সমস্ত অনুভবে তোমার অধিপত্য
সেখানে ঝলমল করে কেবল অপত্য স্নেহ
অথচ বাস্তবতার কি নিষ্ঠুর কৌতুক দেখ, চার চারটে যুগ পেরিয়ে
আমায় কিনা জানতে হলো ভালবাসা নয় এ কেবল করুণা
বিধাতার দেওয়া উপহার নয়; উটকো ঝামেলা হয়েই ছিলাম-
তোমার কোল আঁকড়ে নির্বোধ নির্লজ্জ মেয়ে শিশু
কেবল একটি অঙ্গের বাঁধনে আমার অমন লতানু দু’টি বাহু
ঘন পাপড়ির কোলে লুকানো দু’টি শালিকচোখ
সর্বাঙ্গে নেহা দেহখানা তোমার ভাল লাগেনি মা!
সুযোগ পেয়েই ঝেটিয়ে বিদায় করলে আবর্জনা, হৃদয়ের চৌহদ্দি হতে?
তুমি তো জান না মা, যদি বলতে, খুকি ইচ্ছে হয় পায়ে আলতা পরি
আমি প্রতিটি ধমনি উপুড় করে তোমার পায়ে এঁকে দিতাম রক্তিম আল্পনা
যদি বলতে, কর্ণিয়া দু’টো বয়সের ভারে বেসামাল,
সবকিছু যেন ঠিকঠাক হয় না দেখা
আমার প্রকৃতিকাতর দৃষ্টিকে তখনই গুডবাই বলা ছিল নিয়মের ব্যাপার
তোমাকে না দেওয়ার কিছুই ছিল না মা, তোমার একটু ভাল লাগার জন্য
হাসতে হাসতে বন্ধ করে দিতে পারি অলিন্দ-নিলয়ের সমস্ত কার্যক্রম
কেবল ছাড় দিতে পারি না ভালবাসার অধিকার
বলো মা! আমায় এমন বিশ্রীভাবে হারতে হলো কেন?