দ্রোহের কবিতা
যারা ভাত খেতে পায় না রাষ্ট্র তাদের হাতে তুলে দিয়েছে চুইংগাম
সারাদিন চিবোলেও ফুরোবে না; অতঃপর ক্লান্ত হয়ে জনগন ঘুমোবে
শুয়োরের বাচ্চাগুলো তখন মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকবে নাইকো কিংবা তাল্লোর সাথে
আমি ঘুমাবো না; রাস্তায় নেমে পিকেটিং করবো ভাতের দাবিতে…
শূন্যতা
কল্পনার অক্ষাংশে ছিলই না, শূন্য রানে ফিরে যাবো ব্যর্থতার হাইওয়ে ধরে
মা ছেলেবেলায় শূন্যকে পেছনে রেখে এক থেকে গননা শিখিয়েছিলেন
আইসক্রিমের আবদার করে বাবার কাছ থেকেও ফিরিনি শূন্য হাতে
এভাবেই অপরিচিত থেকে গেছে শূন্যতা
এই প্রথম শূন্য রাহুর সাথে স্বোপার্জিত সাক্ষাৎ…
একমুঠো ভালোবাসার দাবিতে কবিতার প্লাকার্ড হাতে দাঁড়িয়েছিলাম
চ্যাংঝোলা হয়ে নিয়ে এলাম শূন্যতার ট্রেডমার্ক
এতদিনের শিক্ষা ভুল ছিলো। শূন্য আর শূন্যতাকে বাদ দিয়ে এঁকে গেছি-
আশার লেখচিত্র
শূন্যের কোপানল থেকে মুক্তি পেতে এখন চলছে স্বস্তায়ন প্রস্তুতি;
পুরোহিত দর্পন হাতে খুঁজে চলেছি শূন্যদেবতার ধ্যানমন্ত্র।