গুপ্তকথা 

ঘুমঘুম চোখে চেনা শব্দে বুকে ধরেছে কাঁপন

বালিশে মাথা নোয়াবার উচ্ছাস নেই।

খোলস ছেড়েছে বছর, রাজত্বর আড়ালে বর্ষণ

আকাশে মেঘের কোনো রেশ থাকার কথা ছিল না;

হঠাৎ গর্জে উঠে মেঘ, বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই কারোর প্রতি

টপটপ বৃষ্টির জল গড়ায়,

যেখানে মৃত কুকুর পিষ্ট হয়, নিখোঁজ নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধার আশ্রয়ের একমাত্র সম্বল।

মস্ত বড় দালানকোঠা, নানান মডেলের গাড়ি, উষ্ণতার বস্ত্র কতো শতো

শীতল আবেশে বৃষ্টি হলে খারাপ কিসের, রোমান্টিক মুহূর্তে প্রেমিকার সাথে চলবে সারারাত মধুক্ষণ!

চন্দ্রমল্লিকা রেখেছি হেলেনের জন্যে

কদম তো কতবার দিয়েছি আগে,

বৃষ্টি ভেজা সুভাসে স্বপ্ন দেখবো দুজন

নির্জনতায় ভাসবো তৃপ্ত অঙ্গুলির ছোঁয়ায়।

আগুন ধরেছে বস্তিতে, উৎসবের আমেজ থামেনি

পুড়ে অঙ্গার হয়েছে পিঠা বিক্রেতা, সেলাইমেশিন আঁকড়ে ধরা এক যুবতী;

জলের আকুতি বুকে জমেছে, আর্তচিৎকার শুনেছে গোটা শহর

কেউ আসেনি দেখতে, এরা মানুষ নয়, ছোটজাত!

বৃষ্টির জল ছিল না সেদিন, জলের প্রয়োজন মরে গেছে!

নিয়তির গুপ্তকথা বুঝে উঠা হয় নি আর।

মন্তব্য: