ঋক
রোদে মেলে দাও অনাবৃত ত্বক।
তার দাহ হোক।
জ্বলে উঠুক আগুনের ঋকরাশি।
প্রত্যেক তাৎপর্য থেকে জন্ম হোক একটি পাতার।
এভাবে বৃক্ষ-
আমাদের জন্ম এক যৌন উপনিষদ যেখানে এক নিষাদ জনক
তূনে রাখেন বিবস্ত্র গোলাপ।
ভেঙ্গে যায় ভাস্কর্যের ঘুম।
পাখি তৈরির যন্ত্র থেকে তৈরি কাগুজে তিতিরের দল
পুঁতে রাখে শিশিরের ঘ্রাণ।
অংকুর শূন্যে তাকায়।
সময় যতটা তার চেয়ে বেশি বদলায়
শূন্যে রাখা শরীর তোরণ।
মৃত্যু ও অন্যান্য
আত্মহনন হোক রঙিন জাফরান।
মৃত্যুর সময় আমরা তাকিয়ে থাকব বোবা ভাস্কর্যের দিকে।
স্থির হয়ে যাবো।
তারপর অন্ধকার এলে জেগে উঠবো ধীরে।
পাথরের পৃষ্ঠা খুলে পড়ে নেব রুদ্ধ চিৎকার।
রোমকূপে ভরে নেব আলো।
নিষাদের হারমোনিকা, সুতোর কম্পনে ছিঁড়েনা ও স্বর-লিপি।
পাথর খুলে খুলে রোপণ করে রাখো নিষেধ ও নিয়তি।
হরিণ, প্রশ্বাসের পিপাসা পেলে এই দিকে এসো-
এখানে বটগাছ।
মন্তব্য:
সুবর্ণা গোস্বামী
Member since