সুদেব চক্রবর্তী – এর কবিতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

নভেম্বর রেইন

আকাশটা খুলে দিয়েছে কান্নাসমগ্র;

আলোহীন গলির সরলরেখায়

                আমি তার দৈর্ঘ্য মাপি।

নবান্নের ঘ্রাণ চাপা পড়ে গেল

ভেজা বাতাসের অকালবোধনে,

বিলাসী শহরে শীতের বদলে নেমে এল

            ইন্দ্রের অভিশাপ।

কে বলে পোড়াতে পারে না জল?

বুক পোড়ায়-

দহনের আড়ালে মৃদুস্বরে

চলতে থাকে বাষ্প তৈরির কারখানা,

চোখের কার্ণিশ বেয়ে নুয়ে পড়ে মেঘের পাপড়ি,

অলস সাপের গতি নিয়ে নেমে আসে জল;

দিনের আলোতেও যার গভীরতা মাপেনি কেউ।

ঘর

রিমোট কন্ট্রোল হাতে থাকা জীবন ঢুকে গেছে যাযাবরের পেটে;

রোজনামচা লিখে যাওয়া পাকুড়ের ধারাপাত খুলে জানা গেল-

পকেট ভর্তি অপশন থাকলেই ভাঙা যায় না ঘর।

এই লোলজিভ শহরের মন্দিরে না গিয়ে আগে সংসদে যাও-

চুমু খাওয়ার উপর যারা কর আরোপ করেছিল

তাদের মাইফেলে ঢেলে দাও বিষবিক দুঃখ।

কুÐলিত শিরক ভেঙে চলো পিরামিড থেকে উদ্ধার করি ঘরামিসূত্র;

আমাদের ঘর একটাই হোক-পোড়ামাটি আর ভাঁটফুলের চতুর্ভুজে।

রাতের কবিতা

রাতটাকে অনুবাদ করে হাতে ধরিয়ে দিলেই হয়ে যাই কবি,

ঠোঁট বরাবর জ্যামিতি আঁকলেই প্রেমিক;

দিন পড়ে থাকে ভ্রাম্যমাণ সূর্যের আলোর বেচাকেনা নিয়ে,

এখানে কবি ও প্রেমিক দুটোই কৈলাসী পাগল।

চলো রাতের অর্গল খুলি

যেখানে পূর্ণ হয়ে ওঠে ভালোবাসার পানপাত্র          আর অপভ্রংশে ভরা শব্দসীতা।

মন্তব্য: