স্বীকারপত্র
ত্বকে শীত রোদ ওম, হৃদয়ের প্রচ্ছদ তুমি-
পর্যাপ্ত ভালোবাসা না পেলে শুষ্ক হও
জল ঢেলে পাঁজরের ফ্রেমে রাখি তাই,
ও আমার শীতের মাফলার তোমাকে দিলাম
প্রস্থরযুগ শেষে প্রথম আগুন জ্বালার অধিকার।
আত্বার মত নিকট তুমি যদিও স্পর্শের বাইরে-
চলাচল রাখো অবাধ- চাটনির মত চেটে খাও সুখ
ক্রমশ ফুরাবার সঙ্কা বধ করে শব্দবান!! তোমার প্রশংসা
থেকে যায় অব্যাক্ত সব। আমার মৃত্যু হবে এই দায়ে-
যথার্থ প্রশংসা করে যেতে পারিনি তোমার…
প্রচুর তোমাকে পানের পর
যথেষ্ট বিরহপান শেষে আর যত কোলাহল অবশিষ্ট থেকে যায়
বেলুনে ফুঁ রেখে আমি তাদের চিহ্ন আস্তিনে মুছে ফেলি।
হৃদয়ের জেরক্স করলে সেখানে ফড়িংয়ের কংকাল
বিস্ফোরণের সম্ভাবনা নিয়ে ধুপধাপ করছে হৃৎপিন্ড
যে কোন সময় প্রকাশ হবে আততায়ীর মুখ- যে বিনয় জানতো না।
কংক্রিট সভ্যতার পাকস্থলী ভরে ওঠে প্রেমিকার অভিমানে
ক্রমাগত বনের গভীর থেকে শুনি শিকারীর আভাস
হরিণীর আহত মনের কথা ভেবে চৈত্রের ফাটল জাগে করতলে
এই করতলে- ও ময়ূরী- ও জোৎস্না- তোমার বর্ষণটুকু রাখো…