দুঃখ করো না
নদীর প্রসঙ্গে- মনে পড়ে নিঃসঙ্গ মানুষের মুখ
যাদের ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে বিনাশ সমুদ্রে…
দুঃখ করো না অরণ্য, জলাভূমি-
কুয়াশাপৃষ্ঠার ওপারেই বসন্তের প্রত্যুষ প্রতীক্ষারত;
একদিন ঠিক দূরীভূত হবে বিরহ জঞ্জাল
দু’তীরের সম্রাজ্ঞী বাগান ভরে যাবে বাদামী ভ্রমরে,
পুষ্পচঞ্চলতায় হেসে উঠবে আবাসসমগ্র;
এখন তো অবগুণ্ঠন খোলার সময়…
এড়িয়ে যেও না জরাজীর্ণ আগামী-
সময়ের বিপন্নতা সরিয়ে প্রমাণ করতে হবে, তোমাকেই
কতটুকু শক্তি ধারণ করেছো- আমূল পাল্টাতে
জানুয়ারির কবিতা ১
বাতাসের অনুভূতি খুলতেই তোমার নামের গেরো-
এইখানে শীতরাত্রি। জঙ্গলের পাশে- এইমাত্র,
উন্মুখর হলো যে, অ-শোক, তার পরিভাষাবিশ্ব
কল্লোল ছড়িয়ে উঠে এলো ফের,
মাধুর্য নয়- বর্ণনা নয়- সুসজ্জিত মায়া এক!
প্রাক্তন হাওয়ার আগে- ধারণ করেছিলে তুমিও- গতিবিম্ব;
দুর্বোধ্য, কাল্পনিক রেখার পাশে-ই সেঁধিয়ে ছিলে, অথচ-
উষ্ণতার আলিঙ্গন থেকে ছিঁটকে গেল রক্তাক্ত শরীর
যুদ্ধচেতনার ওই রাত, আজও উড়ছে দেখো- পরিত্যক্ত ইশারায়;
সেই ভঙ্গুর ও প্রাচীন অভিনিবেশ মান্যতা পায়নি বলে
ঝাঁক ঝাঁক উচ্চাশা উড়িয়ে যাচ্ছি, সুদূরের লোভে;
চোখে এঁকে বিশ্ব-ভূগোলের অচেনা গোলার্ধ-