নক্ষত্রপতন
তোমাতে ব্যাকুল হয়ে আছি।
তোমার সে আহ্বান চোখ গেলো পাখির মতো দূর থেকে ডেকে ডেকে যাচ্ছে। যেন, ভেতরে গুমরে মরছে ছুঁয়ে দেখার আমৃত্যু বাসনা। অথচ দৈব সত্যের মতো আমাদের অমিলন চিরকাল পৃথিবী বহন করে যাবে। তুমি সত্য, আমি সত্য। আমাদের মধ্যবর্তী নদীটি আপেক্ষিক।
স্বপ্নে এসে ছুঁয়ে দিয়ে যেও।
*
কোথায় পরব্রহ্ম? কোথায় মহাদেব? ষোলটি পদ্মফুলের চারপাশে আজ এক ভয়ানক সাপ!
*
স্লো পয়জনের মতো কেউ কেউ রক্তে মিশে যায়।
গভীর রাতে ঘরে ফেরা
কুয়াশার সাথে পাল্লা দিয়ে ভোরে ফের বেরিয়ে পড়া
নিউ মার্কেট, বোনের বাসা, সিটিং বাস
অবিকল একইরকম; রোজ।
নতুন বছর এসে গেলো
পুরনো ঘরেই এখনো ঘুমাতে যাই রোজ!
*
কোথাও আর কোনো আশ্চর্য ফুল ফুটবে না পৃথিবীতে। এই সত্য এবার শীতে জেনেছি। জেনেছি, মানুষ মিথ্যের আশ্রয়ে সমস্ত জীবনভর রাঙিয়ে চলে নিজেরই মুখ। মিথ্যে ফুলের সুবাস নিয়ে প্রতিটি পুরুষই শেষতক ঘুমিয়ে পড়ে।
আলো নিভে যায়…