বঙ্গ রাখাল – এর কবিতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

কৈতর

মেয়ে তোর গতরের মদ্দ্যি কিসের আগুন। আগুন, আগুন খেলিস। গতর খানি ঠান্ডা হলি কি লুকোই রাখিস বেসরমের পানি। বেলতলায় দাঁড়ায়ে উদম বুকের সানকিতে সাজিয়ে তুলিস তীরহীন সমুদ্দুরের ঢেউ। আর মনে মনে ট্র্যাফিক সন্দেয় কামনার জানলা খুঁলে একাকী ঘরের কোনায়- ইচ্ছের নদীতে ঝাঁপসে পড়িস। জানিস- তোর দাদাজান- লাঙ্গলের ফালে তুলে আনতো যে মাটি, সেই মাটির মদ্দ্যি চাষীর গতর ঘামের রক্তবীজ শুয়ে থাকে। গোলকের মাঠ পার হলিই ঠেলে আসে রাত। উয়ে যায় সোনার কৈতর। অলস দিনে কৈতর আসে এক ঘোরের মদ্দ্যি- বুকে তোলে তুফান। কুড়োয়ে নেয় ওম- সন্দেবাতি জে¦লে যে বালিকারা রাস্তা দিয়ে হাঁটে তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে পাড়ার মিনশেরা বটের ছায়ায় আগুনের মানে খোঁজে…

কিরাম কিরাম লাগে

মানুষ ওড়ার আগেই গাছেরা উড়ে যায়। প্রকৃতির দীর্ঘ লাইন- কুশোরির মাঠ ধরে- হাঁটে যায় বাঘনুমজানের ছোট মেয়ে অবিরাম… হাঁড়ের বুকের কাছে ল²ীর গ্রাম- পানি থৈ থৈ করে, এই জলে ডুবে যায় কে… ডুবসাঁতার দেয় স্কুলমাস্টার, বিলের শাপলা তোলে, শালুক খেয়ে লালপিঁপড়ে সাজে রস নেয় চুসে- মাঠের পর গ্রাম… ছাগলের বাচ্চার মত লাফিয়ে লাফিয়ে দিনে দিনে বাড়ে লক্ষীর প্যাট। মাঠের ধান কাটে খায় ইন্দুর, চাষীর অন্তরে বিলাপের আর্তধ্বনি- ক্ষোভ, অভিমান জড়ানো বুকে বাঘনুমজান যাত্রাপালায় কাঁন্দে কাঁন্দে বুক ভাসায়। লুকালো বুকের মদ্দ্যি কি সে অজানা অসুখ….

মন্তব্য: