ঘুম
ঘুমের ভেতর ছায়া, ইহস্রোতের মতো পরিযায়ী। মোহ আসে, উড়ে যায় নির্বানরঙ।
যে পাতা হেমন্তে দোলে তার অরণ্য লেগে থাকে বাতাসের গায়। শীতের যোগফল তাই ঘুঙুর বাজানো প্রচ্ছদ।
নাচ ভেঙ্গে এসো, ছড়াভর্তি স্কুলে এসো…
অন্তর্ধান পর্বে দ্বৈত ছিল, যারা নক্ষত্রের ডানায় এঁকে দিতো মাস-আঠারো শষ্যের দম্পতিদানা।
তারাও যাবে, তুমি দৃশ্য খুলে দিও; দেখ অন্ধকার কতো সহজবেলা।
তবুও ঘুম এক বিস্ময় ঋতু, যেখানে পাথর গড়ালে পাপও গড়াতে থাকে।
ডাক
অনেক নামের পাশে ফুটেছিলে, ম্লান অরণ্য তুমি। সবুজ পাতার পাশে কামরাঙ্গা ঘুম।
অপার ধনুক থেকে ছুটে আসা তীর, বিদ্ধ করে প্রশ্নের বোধ।
স্ববৃত্তের মতো জ্যোৎস্না নামে-শব্দের সূতায় বোনা দীর্ঘনিঃশ্বাস। কে যেন আসে, মৌন নাচের সাথে দোল খায় ঘুঙুরের ধারা।
করতলে রাত ছিল, হাসনুহেনার মতো এলোমেলো ভোর।
কতটা রঙ্গনঝাড়, কতটা হেমন্তঋতু।
তবু ডাক দিলে তুমিই লাল, অজস্র রঙের মাঝে প্রথম ডাহুক।