নির্ঝর নৈঃশব্দ্য – এর কবিতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

রোদকাটা কুকুর

শাদাকালো কুকুর হেঁটে যায় রোদ কেটে। কুকুরের  মুখে খণ্ডিত হাস্যরস। এইবার উড়বে জালের ভিতর। দূরের দরোজায় শয়ে শয়ে পাতা ঝরে। হাতে শালুকের বদলে ফুটছে মেডেলগুচ্ছ। গলায় মুক্তোর মালা আর  চোখে চশমা। চিবুকের নিচে মকরক্রান্তি ছায়া। বাষ্প উড়ছে চক্রবর্তী রাতে। দেবতার শব পড়ে  আছে মর্গে। পেছনে বইয়ের তাক কবিজীবনী। ক্রেন্স আর ফ্লাইং। সঙ্গে ওড়ছে অলৌকিক রেহেল।রেহেলে শোয়া মৃতশিশুদের চোখ। তোমার পেছনে বকফুল  সিঁদুর। পাশে অ্যাংগ্রিপাখি পাশ ফিরে আছে। একটা লাল ইঁদুর পাঠাচ্ছে চিঠি দ্রুত। সঙ্গে অন্ধ কার্বনকপিও যাচ্ছে একা। চায়ের  কাপের পাশে শুয়ে আছে খাতা। হাতের ঘড়িতে সময় থেমে গেছে। স্বরচিত  লাল পড়ছে কেউ। নিজেকে নিলামে তুলেছো। তোমার দাঁতে লক্ষপোকা কাটছে মাড়ি। প্রশ্নপত্রে ঘি ঢেলে বানাছে পায়েস। শাদাকালো দাঁড়িয়ে আছো উঠানে। শালুক পুনর্বার জড়ো হয় নৌকো ঘিরে। ফিরে আসে জোড়াপাহাড়ের ঘ্রাণ। জলের ভাঁজে লুকিয়ে রাখছো হাসি। সঙ্গে লুকিয়ে রাখছো রোদকাটা কুকুর।

অন্ধ পাপেটিয়ার

কতিপয় কবিবুড়ো, বাচাল কবিয়াল, আরাত্রি মিডিয়াদাস, ফুলবাবু, কসাই আর ধ্বজভঙ্গ রাত তোমাকে ঘিরে রাখে। আমি তোমার কাছে ভিড়তে পারি না। দূর থেকে তোমার আঙুলের দিকে তাকিয়ে থাকি। তোমার আঙুলে ধরা আছে রঙিন সুতো আর অপরাপর অন্ধকার। তোমার বামপাশে নিঃশব্দ ট্রেন থেকে নামে কবিরাজ, তার ঝুলিতে রঙিন শিশিতে ধরা আবেহায়াত। অন্তহীন যৌবনের লোভ দেখিয়ে সেও তোমাকে বশ করতে চায়। তুমি বুঝতে পারো না। তুমি এক অন্ধ পাপেটিয়ার। ফলত আমার ত্রিস্তানব্যথার ভাষা ফুরিয়ে যায় বাতাসের ওষ্ঠাধরে। তিরিশবছর ধরে আমি শুধু একটা ম্যাজিকই শিখেছিলাম তিরিশজন যাদুকরের কাজ থেকে, শিখেছি কেমন করে অদৃশ্য হয়ে তোমার বুকের কাছে এসে দৃশ্য হওয়া যায়। কিন্তু তোমার এইসব মিডিওকার, পরদেশি পদ্যবাজ, পেটমোটা আমলা, কালোবাজারি, কোয়াক, পাঁড়মাতাল, দালাল, ঠিকাদারের প্রাচীর আর ভিড় ভেঙে আমার যাদুকর হতে ইচ্ছে করে না।

মন্তব্য: