মুজাহিদ আহমদ- এর কবিতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

বড়দেশী গ্রাম

চোখের পলকেই সমস্ত রাত্রিটা কোনো এক সদ্যফোটা অন্ধ ইতিহাসের ভেতর আটকে গেলো- কিছু ঠুস্-ঠাস্ শব্দ; কিছু হায় হায় রি-রি স্বর। তারপর বিউগলের অফুরন্ত যাত্রা- পুরনো শঙ্খের ধ্বনির মতো কি যেনো বেজে উঠতেই কেবলার চরে ছয় ছয়টা সূর্যের অস্ত যায়।

আহা! কবরের মতো নিরব সুবহে সাদিক; সিঁদুর-চন্দনে মাখামাখা আকাশের অঝোর বিলাপ। আর বড়দেশী গ্রামের কেমন নিশ্চুপ হেঁটে যাওয়া- এভাবে আরেকটা বিমর্ষ দিনের যাত্রা শুরু। নতুন ভোরের প্রস্থান কলঙ্কিত কোনো অধ্যায়ের দিকে-

ভয়ঙ্কর রকমের রক্তপাত। দুহাজার এগারো সালের সতের জুলাই। ঘোলাট চোখের সে এক পঙ্খিরাজ। এদিনের বেয়ারাবিহীন পালকীগুলো আজ কেবল অভিন্ন স্মৃতি- আমিন বাজার- কোনো উপোস দানবের গহ্বর বিশেষ…

বিগত পুরুষ

টিনের চালে খৈ ফোটার শব্দে সান্ধ্যবৃষ্টি- বৃষ্টি ধূয়ে দিলো সারিবদ্ধ পারিবারিক কবর; নিষ্প্রভ কদমবৃক্ষের কৈশোর শরীর। আমরা উত্তরসুরীরা আশ্রয় নিয়েছি দীর্ঘ কোনো আশ্রমের ভেতর-

দাদার হাত ফসকানো হালের সাদা বলদ; দুধের গাভী বৃষ্টি পিঠে গোয়ালের দিকে- ধারাবর্ষণের ঘাটে দাদীর হাতের ছিপ; সরপুটির লোটা- সুপারি পাতার মতো দুলতে দুলতে উত্তরসুরীদের দিকে-

ঘোড়া ভেবে ছিপের পিঠে সওয়ার হই। জকি শিশুর মতো চাবুক ঘুরাই- ভুলে যাই আয়ুর কদর। অনুভব করি লংলা দীঘির সাথে কর্মধা দীঘির পাড় আর রাতজেগে ডেকে যাওয়া গুলোয় অভিন্ন মিল- 

গোয়ালের বলদ, লোটাভর্তি সরপুটি তারাও বৃষ্টিতে ভিজে। বৃষ্টিতে ভিজে দীঘির পাড়ে পারিবারিক কবর; পূর্বপুরুষের শরীর মেশানো পুরণো কবরের মাটি। জেয়ারতমগ্ন মানুষের সজল-ধ্যান-  

মন্তব্য: