একটি সকাল
ডানার ওম থেকে এই-যে নেমে এলো ভোর, পাখিরা কি জানে? পাখিরা কি জানে, যখন প্রথম চোখ তুলে তাকালো সবুজ পাতার দিকে তারা, সমস্ত আকাশ লিখে নিলো শাস্তি। নরম তুলোর মতো রোদ এসে দাঁড়ালো উঠোনের কোনে, তার পাশে ডালিমের গাছ— ধ্যানস্থ বুদ্ধ যেন; সামান্য ইশারায় বাতাস ভরে গেল সুগন্ধে। আহা! কী পূন্যময় সকাল আজ! যেন কোনো বৈদিক ঋষির করুণায় উপচে পড়া হৃদয়— সমস্ত সকালের আলোর মুখখানি বাঁধিয়ে রেখেছে সোনার সানকিতে। যেন নতুন মোড়ক খোলা সোনার মূর্তি— কোনো দেবদূত এসে রেখে গেছে এইখানে। আজ কোনো তূণ থেকে তীর তুলোনা কেউ, এই একখানি সকাল থাক অপাপবিদ্ধ।
ডোর-বেল
ডোরবেল বাজলেই বুঝতে পারি
আজ কেউ আসেনি,
না-তুমি,
না-আমার অচেনা অতিথিগণ।
জানালার পর্দায় কাঁপছে একুশটি বসন্ত,
দেয়ালে দুলছে আমার নির্ঘুম রাত্রিগুলো,
যেন কোনো পুরনো ঘড়ির পেন্ডুলাম¬
হরিণ হতে চায় প্রতি বসন্তে।
ডোরবেল বাজলেই বুঝতে পারি
আজ কারও আসবার দিন নয়,
আমি টেবিল থেকে তুলে নেই
তোমার জন্যে অপেক্ষায় থাকা লাল-আপেল,
কেটে দেখি, তার সমস্ত মাংস জুড়ে
কী সতেজ রক্তক্ষরণ!