বঙ্গমাতার জন্মদিন ও ছবি
কাঁচের স্বচ্ছ আবরণে দৃশ্যমান তোমার সরল হাসি
যেন এক্ষুনি রিনঝিনিয়ে উঠলো বলে
প্রশান্ত শরতের অবয়বে নেই কালো মেঘের ঘনঘটা,
ঠোঁটের কোণেও নেই ভাগ্যের কষাঘাতে জর্জরিত ক্ষতচিহ্ন
একদা যা রক্ত ঝরিয়েছিলো প্রচণ্ড ঘৃণায়।
জীবনের পঞ্চম বসন্তেই বাবার কোলহারা
মায়ের আঁচল ছাড়া
কৈশোরে যার হাত ধরে স্বপ্নের জাল বোনা
সে হাতও লাখো হাত ধরবে বলে বারবার সরিয়ে নিয়েছে দূরে।
তবুও বেশ ছিলে, ত্যাগ তিতিক্ষা মায়া মমতায় একাকার হয়ে
নিজের মতো করে
নিরবে
নিভৃতে।
কিন্ত ছাড় দিলো না নিয়তি!
যৌবনে যাকে পেলো না কাছে
পাওয়া হলো না বার্ধক্যের অবকাশে…
আচ্ছা, কতোবার ধৈর্য পরীক্ষা দিয়ে জীবন আঁকড়ে থাকলে-
একজন নারী বিরঙ্গনা হয়?
কতোগুলো বঞ্চনার তকমা লাগালে বিবি রহিমার স্বীকৃতি মেলে?
প্রভু, এই লোভাতুর পৃথিবী ছেড়ে
স্বামী-সন্তানহারা যে নিঃস্ব বিজয়িনী ফিরে গেলো তোমার দরবারে
সগৌরবে…
নিজের ঘরে যার যার ঠাঁই হলো না, তাকে বেহেস্তে ঠাঁই দাও
হ্যাঁ, তাকে বেহেস্তে ঠাঁই দাও।