শনিবার ও হাওয়া ঘুড়ি
মধ্য পর্ব: ১৪
বৃষ্টি পেরিয়ে সাঁকো, আর সাঁকো পেরিয়ে গেলেই আদিগন্ত ধূ ধূ মাঠ;- সেই ওখানে। তোমরা কি আছো? আমাদের ভজা শরীর কাব্য করে রাতের জলকণায়! ওইটুকু আনন্দ ছিল পৃথক…তৃষ্ণার বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মগ্ন সন্ধ্যায় ধীরে ধীরে শরীর মেলে দেবার দৃশ্য:- সেই ওখানে তোমরা কি আছো? অথচ উপদ্রুত উপকূলে লেখা হলো স্তব্ধ নগরীর বার্তা, ভেসে গেলো প্রাণহীন বহু কথকতা পুরাণ জলে। আর আজ তোমরাই নিয়ে এলে শহরের কোণে এক মুখরিত নগরীর উত্থান…মেঘবালিকার আশানিরাশার ছায়াবাড়ি…সেই থেকে লেখা হলো পুনরপি ইতিহাস…আর ক্রমশ স্পষ্ট হতে থাকে প্রবীণ ইতিহাসের চিড় ধরা পাতাগুলো; সেই তখনো তোমরা কি আছো? আবারো হয়তো দেখা হবে আমাদের যুগল ক্লান্তি শেষে স্লান যবনিকায়…
মধ্য পর্ব : ১৫
বিচ্ছেদের বাড়িতে তেমন কিছুই থাকেনা, গুটিকয়েক দিনযাপনের খুচরো আধুলি ছাড়া। তুমি দেখেছো শুধু চিরআশ্রয়ের বুকে অনন্ত ভোর, কী মমতায় গাঁথা হাওয়া ঘুড়ির গল্প! শরীরের উপকূলে জাগে অন্তহীন হাওয়ার রাত! অথচ মেঘবালিকার কাছে অপরিচিত লাগে সেই রাতের পরিচয়, রাতের নিস্তন্ধতা আনে অনন্ত বিষাদ আর ব্যথার ঝড়;- ওই আঁধারে তােমার নিশিত চুলের হাহাকার এসে ছোঁয় মানবীর বিজন বিছানা…খণ্ডিত স্মৃতি…নিঃস্ব প্রেম:- অথচ তোমার সুতীক্ষ চুলের অস্বস্তি নিয়ে জেগে ওঠে দূরবর্তী আকাশ…ওই আকাশের ব্যবধানে বিচ্ছেদের বাড়ির মাথার ওপরে জমেছিল একপ্রস্থ জলো মেঘ আর অনিশ্চিত ভাবনায় ভিজেছিল আমাদের পাললিক মন…