তবু
নীল যন্ত্রনায় রাত্রি আসে বৃক্ষের পাতার মতো বিষবাস্পে কাঁপি
তুমি কি দেখছ বেদনাতুর রাত্রি এমন- এমন রিক্ত সৌন্দর্যের অপ্সরী?
হয়তো দেখনি চোখের গহীনে এমন জমাট অন্ধকার। তবু স্বপ্নভস্ম থেকে স্বপ্ন জন্মের আকাঙ্খায় ভেঙে পড়া আকাশের ডানায় রঙধনু’র আল্পনা সাজায়- যেসব শব্দ সোহাগার মতো গলে গেছে
অগ্নি-ব্যাথায়- যেসব স্মৃতি বিন্দু বিন্দু শিশির হয়ে ঝরছে নিসর্গের ধুলোয় কেন জানি তারাও পরস্পর মুগ্ধতায় ধুপকাঠি জ্বালে জোনাক তৃষ্ণায়- জানি আর উঠবেনা শরতের নিরীহ চাঁদ- জোছনার পরাগ মেখে উড়বে না মেঘের দল।
দূর অরণ্য থেকে বর্ষার গান
দুঃখরাও গৃহজীবি হতে চায়
তাই স্বপ্নভঙ্গ গৃহে দুঃখই পেতেছে নিঃসঙ্গ সংসার।
একদিন এ ঘরেই লিপিবদ্ধ হতো আমাদের গোলাপী প্রণয়
কিংবা বসন্তের সোনালী উৎসব
এখন এই নিকানো উঠোন জুড়ে সদর্পে দুপুর নাচে!
কৃষ্ণজলের প্লাবনে ভেসে যায় বাগানবিলাস তবু
পতঙ্গের অন্তিম চোখে জেগে ওঠে সন্ধ্যের সবুজ সংকেত-
আর দূর অরণ্য থেকে বর্ষার গান ভেসে আসে
বাতাসের ডানায়