খেলা
পরাগমিলনের সময় ফুল কি ভেবেছিল তাদের পরবর্তী কাজ হবে পৃথিবীর ফুলদানী সাজানো! কিংবা বৈঠাপ্রধান তরণীগুলো কি ভেবেছিল মানুষ নিয়ে ভেসে যাওয়াই হবে তার চিরকালের কাজ! না জানার ধারাবাহিকতায় এইভাবে এক এক করে বিদ্যালয়ের ইতিহাস ভ‚গোল থেকে পাঠ্যক্রমে উঠে এসেছে গণিত। জ্যামিতি প্রধান রাস্তাগুলোও চলতে শুরু করেছে অনিয়ন্ত্রিত আহ্নিক ও বার্ষিক গতির সীমানায়।
বেলুনের উচ্চাভিলাসী আশা আমার সবটুকু অক্সিজেন নিয়ে উড়ে যায় আমারই নাগালের বাইরে। কেউতো ভাবেনা ঘাসের শেঁকড়ে ছড়িয়ে থাকে প্রাণের ইতিহাস অথচ প্রাণ নিয়ে ঘাসই ভাবে যেটুকু প্রকৃত ভাবার। ভাবনা প্রধান সড়কে বসে থাকি নিয়তিনির্ভর। আমরা ভাবতে পারিনা চোখের ভেতরের নিদ্রিত চোখ কিভাবে তাকিয়ে থাকে মাঠের প্রান্তের মাটি খোঁড়াখুড়ি আর কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি খেলার সঙ্গীদের দিকে…
দেহাতিরিক্ত
নিজের কাছেই রেখে দিই সাতটা বোতাম; বন্ধ করি, অবমুক্ত করি ইচ্ছেমত ফলে
কৃষ্ণ আর শুক্লপক্ষ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত নই, আত্মপক্ষ নিয়েই যত ভয়
জানা যাবে না, সে পড়ে থাকবে কোন পাড়াগাঁয়!
এটা কি দেহ না চন্দ্রগোলাপ, খসে পড়ছে গুচ্ছ গুচ্ছ কোষ, ছোট ছোট পাপড়ি;
কেবলই উর্ধ্বশ্বাসে বেরিয়ে পড়ছে বায়বীয় নিঃশ্বাস, কিছু তার ফিরেও আসছে
সময়ের রথে চড়ে।
সাপ আর ব্যাঙেরা কখনও কখনও ঝগড়া ভুলে গিয়ে পতঙ্গ ভোজনে বেরিয়ে পড়ে,
আবার ফিরেও আসে;
অথচ চরমযত্নে বোতাম এটে সচেতনে রাখি যে
দেহাতিরিক্ত দেহ
সে-ই শুধু শত্রুতা করে…চলে যেতে চায়…না ফেরার কৌতুক দেহে মেখে…