ঈশ্বরের নিমন্ত্রণ
অজস্র আকাশ কেঁদে উঠলো
নক্ষত্র পতন যন্ত্রণায়
পূর্ণিমাও পরবাসী অচেনা গ্রহগৃহে…
শোকবাহি বাতাসও ডানা মেলেনি…
অক্ষরগুলোও বিচ্ছেদ বেদনায় কাঁদে
বিষন্ন কবিতার খাতায়…
অসীম নিস্তদ্ধতায় ঢেকে আছে পাখিদের
কলরব সভা…
প্রজাপতিরা রক্ঙিন পাখা খুলে উড়ে যায়
শোকগাথা কালো ডানায়-
জলমহলেও স্মরণসভা…
তোমার ছায়া ধরে কাদে মাছেদের নির্মিলিত চোখ-
কুমারী ফুলে এসেছিল বুঝি ঈশ্বরের নিমন্ত্রণ
চিতার আশ্রমে মেনে নিলে তাই- অগ্নির শাসন
বিচ্ছিন্ন পালক
চোখের ভেতরের বরফ গলে- যন্ত্রণার অশ্র ঝরে যায়
বৃক্ষ-মগজে পৌরষহীন রক্তের সঞ্চারণে
ঐ সব অশ্রুবিন্দুর নিরিহ আর্তনাদ দেখি
স্বপ্নের ফ্রেমবন্দী সোনালী মুখ
যেন, অনুতাপের অগ্নিপোড়া বিভৎস কালো মেঘ-
দেখি পরাধীন সৈন্যের মত- তোমার ঝড়া নিঃশ্বাসে
চূর্ণ-বিচূর্ণ হওয়া জরাজীর্ন আশ্রম-
এইসব দৃশ্যরাগ ব্যর্থ চোখে জড়িয়ে হেটে যায় নিরিহ ব্যাধের মত অচেনা
ধুলোয়। এখানে ধুলোরা প্রত্নরাতের সংগীত শোনায়
আর নীল যন্ত্রনায় ভারী হয় বিচ্ছন্ন পালক।