গ্রীষ্মের পংক্তিমালা
এক একটা দুপুর অপার্থিব ভালবাসার ঝর্ণাজলে নেয়ে উঠতো তখন।
বাগানের সবুজ মাড়িয়ে, নিঃশব্দে তোমার শুভ্র পা দুটো দরজায়
দাঁড়াতো এসে- মিহি ঘাম রুমালে মুছে- একটু থেমে, লহমায় মন্থরিত
বাতাস তোমার উন্মাতাল মৃগনাভীর গন্ধে বয়ে যেত।
অগোছালো ঘর আমার, মুহুর্তমাঝে তোমার হাতে পরিপাটি-কাটো সিঁথি,
বুকে শীর্ণ আঙুল চেঁপে ধ’রে আমার বেহায়া বইগুলো রঙীন;
জানালার আকাশে তখন অবেলার কোকিল, বুনো গোলাপের গান
আর আমি- লোভাতুরের মতো মুহুর্তগুলো পান করি গন্ডুষে।
পুরনো ঘরটিতে ফিরে আসি যখন, স্মৃতিকাতর চোখে দেখি
এখনো দেয়ালে, লেখার টেবিলে, শার্টিনের পর্দায় স্বপ্ন লেগে আছে
ওদের গায়ে আলতো আদর বুলাই- দেখি আঙুলের ডগায় স্বপ্নরেণু
ভেতরের বাহান্ন দরজা খুলে যায়- শোলা ডোবে, পাথর ভাসে।
পূনর্বার স্বপ্ন দেখবো বলে আবার এসেছি, সেই ঘরে যেখানে তুমুল
বসন্তের চুম্বনগুলো স্মৃতি হয়ে আছে।