আমি, পর্ব- তিন
পাখিজন্মে লিখেছে নীলমাছ, বিনিদ্র রাত্রির পর মাথায় জড়তা এ’লে মায়ের আহত ক্লান্তি আর প্রকৃত বাস্তবে আধেক ডিমের সার্থকতা নয়, দেখেছি কি করে অভিজ্ঞতা ক্রমে ক্রমে জ্ঞান হয়ে ওঠে মনের অন্তরালে। ভোরের রঙ হাতের মুঠোয় পুরে দেখেছি; নিত্যদিন একই শার্টের চোখাচোখি হবার লজ্জায় আমি ফুলের ভিতর খুঁজেছি জ¦রাক্রান্ত মানুষের উত্তাপ। অধিকন্তু, ছিল আরো কিছু দৃশ্যাবলি.. জীবদ্দশায় যারা চিত্রিত হলো না পাতার উল্টোপিঠে তারাও জমিয়েছিল বেদনার শিশির, বাতাস সঙ্গে নিয়ে খুঁজেছি সঙগত হ্রদ, যদিও আগেই জ্বরবাহী মানুষেরা পালিয়েছে উঞ্চতা নিয়ে। মেঘেরা হাঁটবেই- পৃথিবীর নিয়মিত পথে তবে উঞ্চতা ব্যতিরেখ নয়। অন্ধকারে চিরকালীন ভয় আমার, অতিদৃশ্যের সম্ভাবনা.. ধরা যাক, এ-পর্বে আধারেই নির্বাসিত আমি- কতকিছুই হারিয়ে ফেলি চলার পথে তাই হারানো যা কিছু প্রিয় ভেবে; ছদ্মবেশে দাড়িয়ে রইলাম দুই পৃথিবীর টানে। ভেতরে ভেতরে শুধুই ইচ্ছে জাগে; কাছে যাবার। দীর্ঘ হয় আরো আরো.. গভীরে পৌঁছালে কুমারি বুকের দাগ আর বাবা শব্দের সাত কাহন জানা হলে স্বর ও সুর এক হয়ে স্বরলিপি।
লীলাবতী
দিদিমা কে…
জীবন মানে সয়ে যাওয়া আর
এ্যাত্তোকিছু বয়ে চলা
স্টেশন নানামুখি, গন্তব্য নির্ধারিত পথে।
সেই কবে ঠাকুমার হাত ধরে ঘর ছাড়া
কত অচেনারো চিনে আজও সে অজানায় ছুট
মধ্যিখানে এ্যাতোকিছু সয়ে যাওয়া।
কিশোরীরা কাঁদাজল তবু
জীবন অথবা যাপনের প্রয়োজন
ঘুম আর ঘুমুতে যাবার বিভেদ ভুলিয়ে রাখে,
বন্ধ দরজা খুলে-
দিদিমা নিতে চেয়েছিল দূরাগত শ্বাস, আসবার কিম্বা
যাবার আগে সে কি সত্যিই জেনেছিল
কটা রেখায় গড়ে উঠেছিল তার হাত? নাকি
তন্ময় হয়ে মগ্ন অভিসারিকা?…