ফানুসের ছদ্মবেশ
রঙধনু সাতরঙ বদলে যায়
দিনশেষে পাখিরা ঘরে ফিরলে স্বস্তির নিঃশ্বাসে
সূর্যডোবা নদী, ফসলী মাঠও তুচ্ছ হয়…
একপর্ব নাটকের শেষ দৃশ্য যবনিকায়
বাউলের তারে ভাসে না সফেদ সময়, নির্ঘুম রাত
আর কষ্টের নদী; সবুজের সমারোহে অঙ্গার
হয় একপ্রস্থ সবুজ…
সেই সবুজে শপথ নিই আগামীর- ফানুসের ছদ্মবেশে।
আঁধার নামে ঘরের কোণে
রোদেলা দুপুর
গোঁধুলী বিকেল গড়িয়ে আঁধার নামে ঘরের কোণে
মৃদু শীতল বায়ে;
তখনো দাঁড়িয়ে আছো পথপানে-
পথভোলা পথিক ফিরে আসবে কি আর?
আকাক্সক্ষার পাঁপড়িগুলো আজও বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে
ভাঙা চালের আটোনে, আঁচলে মুখ লুকিয়ে
অবিশ্বাসের প্রাচীর টপকায় আলোর খোঁজে-
জীবন থেকে যায় গল্পহীন, ছন্দহীন ছন্নছাড়া-
তবুও চলছে ক্রমাগত…
যেমন নীড়হারা পাখি বাসা হারিয়ে আশ্রয় নেয় এক ডাল থেকে অন্য ডালে
শুকনো কলাপাতার বেড়ার ফাঁকে মেঘ সরিয়ে উঁকি দেয় সূর্যালো;
তবু পথ হারায় পথিক, হয় বৈরাগী-
একদিন থেমে যায় সব কোলাহল।
আঁধার নামে ঘরের কোণে
রাত বাড়ে ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাকে
তারপর ভোর হয় পাখ-পাখালির গানে
তবুও দাঁড়িয়ে থাকো কার আশে পথপানে?