তুহিন দাস – এর কবিতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

নিজের কাছে যাই

০১.

নিজের কাছে যেতে হলে বহুদূর হাঁটতে হয়- জানা ছিল না,

আমাকে ডেকে নিয়ে যায় দূরের মাছরাঙাটি; রোদে মূর্ছা যাওয়া 

গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আমি ছায়া পাই, শীতল হাওয়া পাই,

তার পাশে আছে এক করুণ পাথরের মূর্তি- আমি তার নিতম্ব ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখি

০২.

আমি বেড়ালের ঘাড়ের ওপর হাত চালাই দিনমান,

মাথার ভেতর নৌকাডুবির বুদবুদের শব্দ, ঝড়ের সময়ে

ছুটে ছুটে তোমার কাছে আসি, ঝোপের পাশে পাশে শব্দ ঝরে পড়ে,

আমাদের শরীরের ফাটলগুলো থেকে নানারকম সঙ্গীত বেরিয়ে আসে

০৩.

আমি নতুনের খোঁজে যাবো, যাকে বলে সবুজ, যাকে বলে বাঁচা,

সবুজের মাঝে মরণের দাগ আছে যদিও, সন্ধ্যা মোড়ানো মাথা নিয়ে

আমি যাব নিজের কাছে, দেয়ালে ঝোলানো ছবিরা চকচক করে,

দুপুর দেখবো বলে হেঁটে যাবো মাঠে, লতানো গাছেরা আমাকে ডাকাডাকি করে

০৪.

গলি পেরিয়ে হাঁটাহাটি দিনমান, তবু শেষ হচ্ছে না কাজ,

আয়না ধরে রাখি, মনে পড়ে নিজের বিস্মৃত মুখ,

আমি স্বপ্ন দেখে আঁতকে উঠি যে আমি আর স্বপ্ন দেখতে পারি না,

পাখিদের থেকেও আমার এখন অনেক বেশি পালক আছে

০৫.

মিউজিয়ামে ঝোলানো শাদা কালো পুরনো ছবি দেখি এ শহরের,

বোকার মতো ভাবি আমরা কতো ভাগ্যবান, দর্শকের পারফিউমের ঘ্রাণে

কলাবৈকল্য আসে, সেখান থেকে কোন রেস্টুরেন্টে যাই, জানালার

কাছে বসি, মনে পড়ে গৃহ থেকে রাস্তা দূরে নয়, কখনো রাস্তা থেকে গৃহ দূরে

মন্তব্য: