শুশুক
এই শোকের নদীর গভীরে এক শুশুকের বাস; সে যখন
বিচরণ করে, তার জন্য রূপসী হয়ে ওঠে নদী, আকাশে
ফড়িং ফেরে ঝাঁক বেঁধে। একঝাঁক গাঙচিল
সাবলীল উড়ে উড়ে যায়…
চিরহরিৎ পাতাগুলো আনত হয়, চুমু খায়
এই শোকের নদীর গভীরে এক শুশুকের বাস; সে যখন
লাফিয়ে ওঠে
ঝরনা ধারার স্ফটিক জল
আছড়ে পড়ে তীরে,
স্থবিরতা কেটে যায়, গতি ফেরে, প্রবাহও ফেরে
হাত
বুক ভেদ করে গলা চেপে ধরে হাত
অন্ধকার এবং লোমশ
তখন নিঃসঙ্গ ঘর যাতনার নদী হয়ে ওঠে
জামিরের ঘ্রাণ ছড়ানো রাতের
পরতে পরতে ব্যর্থতা ছড়িয়ে যায়
কী চায় সে- কেনইবা আমার ভেতরে
এমন নৃশংস এক আততায়ী লুকিয়ে রয়েছে
যাকে আমি কখনোই দেখিনি, চিনিনি
স্বীকার করিনি যাকে
হন্তারক হাত বৃক্ষশাখা হয়ে বেড়ে ওঠে
চেপে ধরে গলা
হন্তারক হাত গলা চেপে ধরে
লোমশ, প্রচণ্ড হাত
গলা চেপে ধরে, আর
শ্বাস বন্ধ হতে হতে প্রাণপণ লড়ে যাই
প্রাণপণ লড়ে যাই
তখন ঘড়িটি সজোরে আওয়াজ তুলে
সাবলীল পেন্ডুলাম দুলে যায়
একবার দুইবার তিনবার বহুবার…