আমিতাে কলােনিয়াল ছেলে
নানাভাবে ফেঁসে গেছি মার্কসবাদের মূক্তিকায়।
আগুন পােহানাে লাল কীর্তি, দু’খণ্ড পৃথিবী আর
স্থায়িত্বের প্রিয় শর্তে আদ্যোপান্ত সামাজিক।
স্পর্ধিত আদম ও প্রিয়তম ইভের পৌরাণিক পাপ
জন্ম দিলে শ্রমের চাদর সূক্ষ রজঃস্বলা,
অভুক্ত প্রভুর পাণ্ডুর গ্রীবায় বিচ্ছিন্ন সংলাপ
অনুবাদ করে ফেলি গােলাপি রুটির অনুপ্রাস।
শব্দ থেকে গর্জে ওঠে অস্ত্র, লাল অতিকায়
সােয়েটার বুনে বাণিজ্য যুদ্ধের শেষ।
তত্ত্ব থেকে সংগঠিত মুগ্ধ অসহ্য জার্নাল
সমাজবিজ্ঞান- ভজনা ও বুড়াে আঙুল খেয়েছে একঝাঁক
বাদামি মানুষ। কালভেদে উল্টে দিলে পৃথ্বি, কেন্দ্রবিন্দু,
বুকে রাখ হাত নতুন পরিশােধন, মৃত্যুহীন অনন্ত জীবন।
কলােনিয়াল শিশুটি কাঁদছে শব্দহীন
পসিটিভিস্ট দ্বিধায় কাঁপছে হেগেল গুরুর রক্ত।
বদলাবে প্রতি মুহুর্ত মানুষ, খণ্ড মানুষের গাথা,
বহুরূপে শুনেছি তাহার কথা বহুবার
কি উদ্দেশ্য জগত সংসার।
বিশুদ্ধ অস্তিত্ব ধ্বংস হউক অপার শূণ্যতায়।
বিশুদ্ধ- হাওয়া- শূণ্যতা
: কোথা থেকে আসছ, মানুষ?
মার্কস চাদের অন্যপিঠ দেখালেন।
আমি বাজার, বাজার থেকে ফিরে যাচ্ছি
বিনিময়ে বিক্রিত সভ্যতার টিকেট সেঁটেছি গায়ে
পারটিকুলারিটির কারুকাজ।
আমরা জন্মেছি পণ্য থেকে, মুত্যু মানে পণ্যের বিচ্ছেদ।
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবকিছু আগুন, বাতাস, ফুল, পাখি, নারী
বাজারেই ফিরে আসি
শুধু এক বিস্মরণ ছাড়া মানুষের কোন সিনোনিম, এন্টোনিম নেই, অর্থ নেই, মুক্তি নেই, কীর্তি নেই, তবু ভালবাসা অনন্ত অসীম সত্তা।
হাঁড় ভাঙ্গা খাটুনির নীলকোট ছুঁড়ে ফেলি দূরে
এই কারখানা, এই গৃহ, তপ্ত আগুনের ভাঁড়।
আমি কম্যুনিস্ট নই, জানিনা এথিস্ট কিনা,
ফেমিনিস্ট স্বর্গবালা মেনকার বােন।
আমার তরুণীকন্যা স্নান ঘরে পােশাক খুলতে ভয় পায়,
পরমেশ্বর সবটা দেখছেন ভেবে সে মিলনে অনিচ্ছুক
মাথায় ঢুকেছে গিয়ে মগজধর্ষণ।
অবশেষে প্রাচীন ধ্বংসের স্তুপ থেকে জেগে ওঠে
শীতলা দেবীর পুজো,
শীতলা দেবীকে জিনসএ মানিয়ে যায়।
চিরকালীন ভীতির অবশেষে বেদনার ঘনবােধ, প্রাগমিটিজম,
নানাভাবে কলােনির কনক্রিট ভেঙে নতুন জলের ধারাপাত
ধ্বংসের অবনির্মাণ
উত্তরণের সব ধারণা বদলে গেছে ক্রমাগত
নীলপথ রেখা বেয়ে।
শুরু হলাে স্বপ্ন বপনের দিন, কলােনিয়াল ইন্টারভিন।
(স্বপ্নাদ্য মাদুলি কাব্যগ্রন্থ থেকে)