কবিতা আমাকে অরোরার কাছে নিয়ে যেতে চায়

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

তুহিন দাস

কবি রোদের সঙ্গে পাতার সম্পর্ক পড়তে পড়তে এগোয়। এই নিসর্গের ভেতরে নির্জনতার ভেতরে ‘মায়োপিয়া…মায়োপিয়া’ বলে ডাকে কেউ। আমার নিজস্ব একটা বাগান আছে। নির্জনতার বাগান। এখানে আমি প্রায়ই আসি; দেখি কয়েকজন কবি কাল রাতভর মদ, চাঁদ, আলো আর কবিতা নিয়ে আড্ডা দিয়ে ফিরে গেছে। তাদের পরিত্যক্ত শব্দরা এই ভোরের রোদে কোনো এক আলোকসজ্জ্বা কোনো এক বাতিদানের দিকে তাকিয়ে শুয়ে আছে। আমি দুম করে ওই শব্দদের চুমু খেতে শুরু করে গুপ্তসন্ধ্যা থেকে ভেসে উঠি। নিজেকে লঘু করে নিই। হাওয়াপুস্তকে লেখা থাকে কবিতার নাম। তাহলে আমার জন্যে রাত্রি বেহালা নিয়ে আসবে? এই ভেবে ভেবে কতোকাল অপেক্ষা করবো আমি?

উপমাংসে পেতে রাখি দেহ, আমাদের বাতিবর্ণ আলোকরাশির কথা ছড়িয়ে পড়ে ভূমি ও বীতরাত্রি থেকে। জলের মতো সহজের কাছে গিয়ে পড়ে থাকবো আমিও একদিন। একদিন পিয়ানোয় বেজে ওঠা আঙুলগুলোরও বেদনা জেগে ওঠে, তারা ছবি আঁকতে চায়, তারা আঁকতে চায় ক্যানভাসে রঙ করা অতিকায় ডানা। এখানে এমন সময় এখানে ঘড়ির ডায়ালে শুকিয়ে আছে কবেকার সমুদ্রের গর্জন, বিষাদ কর্মশালা ভেঙে দিয়ে এসে আমিও পরে নেবো জোকারের গাউন; এখানে সন্ধ্যা হতে না হতেই ঘুমিয়ে পড়ে তেজপাতা গাছ।

দেখো সন্ধ্যাবেলায় আলেখ্য দিন আমাদের কেমন মুখ লুকিয়ে বাড়ি ফিরছে! ব্রীজের ওপর থেকে সন্ধ্যাবেলা ফিরে যেতে হয়, তারপর ঘিরে রাখে রাতের মেরুবেদনা আর শব্দের ভেতর আরো গূঢ় হয়ে ওঠে পালকের প্রতিধ্বনি।  রাত্রিকাতর বালিয়াড়ির নিচে সমাহিত আমি, আমি তো গান গেতে গেতে একটি ফুলের দুঃখ নিয়ে ওই গানের সঙ্গেই ভেসে যেতে চেয়েছিলাম। আমি তো খুঁজে পাচ্ছিলাম না লেখার কলম, কয়েকটি গানগাওয়া পাখি ডেকে আনি বারান্দায় আর ভাবি মৃত্যুডাকঘর থেকে যে চিঠি উড়ে যায় ওরাও এই দুরন্ত হাওয়াপৃথিবীর কথা বলে…

এই রূপকল্প ধ্যান, বাষ্পচাকা, মেঘবিহার ও কবিতা আমাকে শুধুই অরোরার কাছে নিয়ে যেতে চায়… 

মন্তব্য: