মুখোশের অন্তরালে মুখ
তোমার চোখে কামরুপ কামাক্ষার লোহিত স্রােত;
প্রবাহিত হচ্ছে লোকালয় বিনাশী রক্ত নদী
এক হিম রাতের অপেক্ষায় আছো
মাহেন্দ্রক্ষণের প্রতীক্ষায়;
দূর হস্তিনাপুরে
একটা হারিকেন তোমার দৃষ্টিতে-
চোখের ভেতরের চোখ, মুখোশের অন্তরালে মুখ;
মানবের অন্তরালে দানব।
দেখাবে না কিন্তু দেখা যাবে: প্রকাশ্যে
অথচ গোপন করে রাখা
শিরাগুলোর মতো কর্ম হবে।
কাম রসের দিব্যি দিয়ে বেমালুম ভুলে যাবে:
মানুষ ছিলে।
অতঃপর কর, ধ্বংসের নীল নকশা
একটা পুণ্ড্র নগর
হয়ে ওঠো
একটা পরশুরাম রাজা অথবা নিজেই যন্ত্র;
যেখানে নিস্পাপ রক্ত লেপ্টে থাকে
মুণ্ড কাতেল
বলিদান যন্ত্র…
অভ্যন্তরে গমন
সূচ যেমন ঢোকে কাঁথায়
ঢুকছি তেমন তোমার ভেতর
নকশি কেটে ঠমক তালে আঁকছি কথা সাঁঝ প্রভাতে
মিহি বুনন মিহি সুতা, হরেক রঙের জরির কাজ
বাইরে তখন চৈতি হাওয়া, অগণন আলোর স্বাদ
রৌদ্রস্নানে সবুজ পাতা, আবির মাখা বাগানবিলাস
ডাকছে কতক: ময়না টিয়া, প্রাণপাখি- নতুন নামে;
শুনছি না আর দেখছি না তো, ঢুকছি কেবল তোমার মতো,
তোমার ভেতর।
ঢুকেই দেখি আজব একী!
একাকী আমি পৌষ মাস…