সুনীল শৈশব- এর কবিতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

একটি ঝড়ের রাত ও আমরা

উন্মত্ত ঝড়ের ভেতর একটি রাত। দীর্ঘ গানের সুর শরীর জড়ায়। আমি জলছাপে আড়ষ্ট হয়ে শুয়ে পড়ি শাঁ শাঁ শব্দ ঘোরে। হাতের কাছে সমুদ্র। পড়শী শত শত উদ্বাস্তু, রাতটাকে কোনক্রমে ঘুম পাড়ানো যায়না। বলছিলাম- শংঙ্কার কথা। প্রিয়তমার চুলের কাঁটা হারিয়ে যাবার ভয়ে জিন্স পকেটে রাখি। মানুষের ফিসফিসানি, হাওয়ার শন শন শব্দ; আফিম জিগির। তবু আতংক লুকানো যায়না। আমার পাশে কোন জানালা ছিলনা, ছিল শামুক ছানার বাক্স, ভয়ের জস্পেশ পাহারা। গা ভর্তি ধু ধু বালু, কাটার উপস্থিতি বুঝি যখন শরীর জ্বলে। এখানে কোন স্থাপত্য নেই, আছে কপোত- কপোতির জড়িয়ে থাকা ভালোবাসার জলাশয়।

কিছু আতংকিত চোখ ঝিমোতে থাকে, শরীর থেকে ভেসে আসে সুগন্ধির পঁচা গন্ধ। কারা যেনো রাতটাকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়; বাইরে তখনো উন্মত্ত ঝড়, দীর্ঘ গান…

স্ফুলিং

আগুন রহস্যে মিশে থাকে ধোঁয়ার কু-লি। তোমার স্পর্শ বুঝে শরীরে উমকেলি। গভীর কুয়োতে যেমন থাকে রহস্যের খাদ। অন্তর্দৃষ্টি জানে এ আকুলতা কতটা নিখাদ। আমার প্রান্তিক জুড়ে হৃদয় মহল্লায়। একমাত্র তুমি, তোমাকেই দেখা যায়। বাতাসের কানকথা হাওয়ার কুহরে। বৃষ্টির স্ফুলিঙ্গ পুরো শরীর জুড়ে। আগুন পৃথিবী জ্বলে কোথাও না কোথাও। ছন্দবিবাগি চোখ বিপদসীমায়। নরক ছেয়েছে পথ স্বর্গের রাস্তায়। স্থির বিন্দু স্নায়ুশিরা উদ্বেগ সুষমায়। কাছে এলে ভোর খোলে দিও দ্বার। কাঁটাতে জমানো তাবৎ অন্ধকার।

মন্তব্য: