মামুন মুস্তাফা- এর কবিতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

দেবী, পা ফেলছেন

একটি কবিতার পাশে শুয়ে আছে বনকর্পূর, মায়া

মেঘের বাড়ি থেকে ছুটে এলো রোমাঞ্চ ডাকঘর, 

দেবী, পা ফেলছেন। কাঁটাতারে বিদ্ধ শাড়ি।

দ্রৌপদীর বস্ত্র হরণের মাঝে নিজেকে নির্বাণ!

সূর্যাস্ত তখন ঝুলে আছে গভীর জানালায় 

এই চেতনার রঙে বুদবুদ মৃত্যু আর শোকগ্রস্ত রাত।

মাথার ভেতরে শেষ সিগন্যাল- ঝাপসা পৌষের হাওয়া

স্বর্গের পাটাতন থেকে নেমে আসে কিছু অলৌকিক ভোর

এবার কবিতার গর্ভে জন্ম নিল পূণ্যজাত অভিশাপ

        হিংসা, পতন, আর ক্লিশে জীবন।

কবিতা, অগস্ত্যযাত্রা

ডায়েরির সমাপ্ত পৃষ্ঠায় জেগে থাকে ইচ্ছামৃত্যু

পরবর্তী স্টেশনে ফুরিয়ে যাচ্ছে করুণ হুইশেল

কবিতায় এখন ন্যাপথলিনের গন্ধ, অথচ

ঘুমের সেই নারী, স্বপ্নদ্রষ্টা! – চালতা গাছে 

ঝুলে থাকা আত্মা শেষ বাঁশি বাজায়;

পৃথিবীর চারপাশে মোবাইল রিংটোন

কবিতাকে নিঃসঙ্গ করে তোলে, পৌষের

শোকগুলো জমা হতে থাকে ডায়েরির প্রচ্ছদপটে; 

কেমন ছিল সেই হারানো চিবুক? শীতের 

জমে ওঠা সকালে ৮/১ সড়কে অসুখের সারি সারি গাছ, 

বুক থেকে মোছা গেল না ভাঁজ করা দুঃখগুলো, 

অরণ্যে রোদন!

কবিতা ভাঙলেই বেরিয়ে আসে

শনি-মঙ্গলের হাট, যেদিকে অগস্ত্যযাত্রা।

মন্তব্য: