ক্রমশ দেহের নিচে
আবার তোমাকে পেয়ে শেষরাতে জেগে আছি একা।
তুমিও আমার মতো ডুবেছো কী অতীত-ময়ূরে:
আমাদের চেনা ঘর কত মেঘবৃষ্টি শেষে জল।
জানি না ঘুমের মধ্যে কী করে ঢুকেছে এই মোম!
সকালের আলো পেয়ে আমরা হয়েছি সুখিজামা।
বৃক্ষ ছেনে ছেনে এসো বেছে নেই যার যার কাঠ।
দূরের যাত্রায় এসো, বাঁধি, নৌকা আমাদের
ওহ্ ভুলে পাটাতন রয়ে গেছে শূন্য বেলাভূমে
লতাগুল্মের নিহত ঘুমে ধু ধু চাঁদ জ্বলে একা
হৃদয়ে পেরেক ঠুকে, এসো, শুরু করি এই যাত্রা
সূর্যের পাজামা দ্যাখো, ভিজে গেছে, সে-ও চেয়েছিল
রামধনু আকাশে রেখে নিজে যাবে অন্ধকারে ডুবে
নীরবে, রাত্রির কাছে এসো, এসো নতজানু হই
দু’জন যেনবা ঠিক পাথরে খোদাই হয়ে থাকি
আগুন মাটিতে ঠাঁই নেই আর কোথাও তোমার
কালের ছোবল নিই একসাথে, সামান্য এই রাতে
আর কিছু নেই বাকি, তবু চোখ দুটো খুলে রাখি
জঙ্ঘার দেরাজ খুলে উড়ে যায় রঙিন মখমল
কিছুদিন থাকতে চাই, অজ্ঞাত, মানুষ যাকে বলে
কত লোক শহরের নিচে বাঁচে পরিচয়হীন
নুলো হয়ে ভিক্ষা করবো নাকি হবে গেরুয়া বসন
কোনো কিছু ঠিক নেই তবু নেমে পড়বো শিগগিরই
নিজের দরোজা খুলে একটু বসি, ভাবি, সঙ্গীহীন
কোনো ধ্যান নেই তবু করে দেখি ধ্যানের ভণিতা