অসমর্থিত খবরে প্রকাশ
নিখোঁজ হয়ে গেছে অনেক কুশ ও লব নাটকের তবুও তদন্ত হবে না- উন্মোচিত হবে না রহস্য! এমনই সভ্য সমাজ আমাদের- জানি, সত্যটা কি- মুখ খুলব না তবুও- দেখেও দেখব না- শুনেও…। আমরা আজ বোবা-কালা-অন্ধ হয়ে থাকতে ভালবাসি।
মানুষের মুখোশে মঞ্চে-ময়দানে নাটক করে চরেছে রাক্ষসের দল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সংবাদ-মাধ্যম জানিয়েছে রাক্ষসগুলো প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত- বিশেষমহল দ্বারা তারা নিয়ন্ত্রিত। জাস্ট কমান্ড দিলেই…। অসমর্থিত খবরে প্রকাশ শহর থেকে যারা নিখোঁজ হয়ে গেছে তারা মূলতঃ প্রভুর আক্রোশের শিকার!
তৃতীয় প্রহরের কথামালা
১.
টান পড়েছে সুতোয় আর অমনিতেই বড়শিতে গেঁথে গেল সোনালী রঙের মাছটা। ডাঙায় তুলতেই মাছটার সে কী ছটফট! লোভে জ্বলজ্বল করছিল অনেকের চোখ।
আমি শুধু মাছটির মরে যাওয়া দেখছিলাম। মৃত্যু দেখা!
২.
নিরাশার নদীজলে এখন আর তনুশ্রী রূপ ধোয় না- মুছে ফেলে অতীত-অন্ধকার সে এখন ওয়েল-ফার্নিশড! রামভক্ত সেই হনুমানটা ছিল আসলে একটা ক্ষুধার্ত নেকড়ে। মূল্য দিতে হয়েছিল চরম- স্যাকরিফাইস করতে হয়েছিল একটা লাইফ! নদীটার মরে যাওয়া রূপটা দেখল সবাই- পলি জমে নদীটা যে সেই কবে থেকে ভরাট- মিনিষ্ট্রিকে এ কথাটা কে বোঝাতে যাবে!? রাতারাতি নিখোঁজ হয়ে গেল একটি প্রাণ- রক্তে ভেজা নিঃশ্বাসটা তখনও বাতাসে ভেসে।
৩.
একটি মুহূর্ত একা থাক এই মরা বাড়ীতে। অন্বেষা’র যেদিন প্রথম পেটে ব্যথা হয়েছিল সেদিন রাতেই সে হাতে তুলে নিয়েছিল গরলের শিশি। ভোর হতে না হতেই খবরটা পোঁছে যায় নিশ্চিন্তপুর। ভর-দুপুরে একটা লাশ পোড়ানো হয়েছিল শ্মশানে।