অসিত বিশ্বাসের কবিতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

কবি

হালের বলদ হারালে কৃষকের বউ হয় মা

ঘরের গভিরে আগুন জ্বললে

ভেড়া হয় অসিতের মতাে কবি

খেয়া পার

আজ আমি খেতে শুতে হাটতে বসতে নষ্ট ভ্রষ্ট ভণ্ড

একদিন এই আমার চোখ বাঁকানাে আঙুল নাচানাে

খিস্তি গলানাে

এমন কি উলটো করে ঠ্যাং তােলা নাক সিটকানাে

সব কিছুতে শিল্প ছিল ওই-চোখে মুখে

আজও আমি সেই আছি

আছে সেই চোখ বাঁকানাে আঙুল নাচানাে

খিস্তি গলানাে

শুধু শিল্প নেই ওই- চোখে মুখে

না থাকারই কথা

যদি থাকতাে তবে অভিধান থেকে মুছে যেত

কড়কড়ে খড়খড়ে স্বার্থাম্বেষি শব্দটি

তােমার যা পাবার তাতাে পেয়ে গেছাে তুমি

এখনতাে নষ্টই হবাে

খেয়াপার শেষে কে আর মনে রাখে পাটনিকে সত্য সুন্দর স্বপ্নের

গল্প কবিতা গান

গল্পটা নােলা পাড়ার হতে পারতো

যেখানে চাঁদ ওঠে না

সূর্য ওঠে না

বকুল ফোটে না

শুধু আঁধার গড়াগড়ি খায় সেই মেয়েটির মতাে

যে মেয়েটি জন্মেই বন্ধ ঘরে মা মাসী বোনের

গড়াগড়ি দেখতে দেখতে নিজের

কবিতাটি পুঁটুলি বাঁকের হতে পারতো

যেখানে আইন শাসন এগােয় না

সকল ন্যায্যতা মাথা কুটেকুটে মরে

সত্য সুন্দর গলে পদতলে

মিথ্যেরা ঘাড় উঁচু করে হাসে

গানখানা নাদিরার হতে পারতাে

যার বুকের ধার দিয়ে বয়ে গেছে নদী

অথচ বুক স্পর্শ করেনি

স্বপ্নরা এদিক ওদিক হাসে নাচে খেলা করে

একবারও ফিরে তাকায় না এদিক

শুধু হাক ছাড়ে ছেঁড়া-খােড়া কোলাহল

যারা ঘাসের মতাে জন্মে ও মরে

এই গল্প কবিতা কবে যে চাঁদ সূর্যের হবে

আর ওরা- সত্য সুন্দর স্বপ্নের সাথে গলাগলি ধরে

জীবনের কথা হবে…

কাঙাল যমুনা

মন্দির পুড়ে গেল পুড়িয়ে দিল

বসত মন্দির বুকের মন্দির

রাধিকা নিজ হাতে পুড়িয়ে দিল কৃষ্ণের ঘর

যমুনার ঘাটে আর বাজিবে না বাঁশি

দেখিবে না কেউ আর কদম্বতলে নব নব অভিসার

মান ভঞ্জন

যমুনা বহিবে শুধু কাঙালের মতাে

বুভুক্ষু বুকে রহিবে কদমকদম চাতক

বাঁশি বাজিবে না ফুটিবে না খরা ফুল

শুধু যুগ যুগান্তরের কথা কবে পােড়া মন্দির

সে কথা কেউ কি শুনবে জানবে মানবে

তারপরও…

মন্তব্য: