এমনই হয় রূপকথা
পূর্বে ও পরের মধ্যে সুদীর্ঘকালের বিরতি!
এক মহূর্তে তিল পরিমাণ হাড় থেকে বেজে উঠল ঘন্টা- হৃদস্পন্দন। তন্তুর মতো একটা শেকড় বের হলো। দিনে দিনে মূল শিকড়টা ভেতরে রেখে বৃত্তের প্রতিটি বিন্দু থেকে সহস্র শিকড় নির্জনতার মধ্যে জড়াজড়ি করে বেড়ে উঠতে লাগল।
নির্দিষ্ট রেখার উপরেও বৃদ্ধি- নিচেও বৃদ্ধি। দু’টো অংশ একটা আলোও অন্ধকারে চব্বিশ ঘন্টা আর একটা অংশ শুধুই অন্ধকারে। বৃক্ষের রূপকথা একদিন মানুষ হলো- মানুষের গল্প হলো- …বইয়ের পৃষ্ঠায় সেই গল্প মুদ্রিত হলো ছাপার অক্ষরে।
অলীক স্পর্শে অক্ষরের অনেক আকার-আকৃতি- একদিন অবচেতনে অক্ষরগুলো নিজেরাই নিজেদের রূপচর্চা শিখে নিয়ে নির্মাণ করলো প্রার্থনা-ঘর। এক একটা মানুষ এক একটা অক্ষর! অক্ষর যুক্ত হয়ে নতুন নতুন আরও অনেক শব্দ- শব্দ থেকে বাক্য- বাক্য থেকে রচনা। রচনা থেকে শুরু হলো নতুন এক সভ্যতার!
মাটির উপরে রূপকথা- মাটির নিচে রূপকথা! রূপকথা নিয়ে কত রূপচর্চা?! মূল শিকড় বন্দী হয়ে এখন অজ্ঞাত অস্তিত্ব। কিছু চতুরতা ও হিংস্রতা মূল শিকরের অস্তিত্বের সন্ধান জেনেও সাধারণ-এর সাথে প্রতারণা করে। অদৃশ্য মূল শিকড়কে কেন্দ্র করেই বিভাজন আর বিভাজন-রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য আরও কত রকম-সকম! রূপকথার গল্প এমনই হয়- এমনই হয় রূপকথা!
থিয়েটার
ছুঁরি-কাঁচিরা ভীষণ স্বাধীন-
মনের সুখে হেঁটে বেড়ায়- খোঁজে অসুখ।
অপারশেন-টেবিলই পৃথিবীর সুখ!
ইতিহাস
শিলার আঘাতে
নিখোঁজ হয়ে গেছে কত-শত টাইটানিক!
জীবাশ্ম হয়ে আছে অজস্র ডাইনোসার যুগ!