মিশেলবেলার গান
যে জীবন বৃক্ষের নয়, সে জীবন কাকের অথবা শকুনের
দরজার ছিদ্রটাও এখন নিরাপদ নয়
জানালার শার্শিগুলো অকেজো
তবে কতোটুকু সম্মোহন ঢাকতে পারে সন্ধ্যের শাঁখ?
হাতের ছাপ রেখে এলেও ভুলে যাই আত্মপরিচয়,
রেখাগুলো মুছে দ্যায় বেয়াড়া বাতাস
কিংবা কচুকাটা হাতের ছোঁয়া…
অবিশ্বাসের এই রঙ্গলীলায় কতোটা পুণ্যের হতে পারে
ভোরের আযান?
এইসব মিশেলবেলায় পাল্টে যায় দিনপঞ্জির বাজার; হিসেব
নয়তো বেহিসেবে।
শ্রমিকের গান
তারা এগিয়ে চলে সনাতনী রাশিফল হাতে
পাতার পতাকা ওড়ে মৃদু হওয়ায়।
উঠোনের গাঁদা ফুল আর গোলাপের পাঁপড়িগুলো
মরিচভাতে সুবাস ঢালে; রোদ্দুর হাঁটে পায়ে পায়ে
স্বপ্নচারী মাছদের চোখে, কাঁচির দাঁতে।
সকাল মাড়িয়ে যে মুকুল
ছায়ার আসরে এনেছিল কাক্সিক্ষত সুখ
হঠাৎ বৈশাখী ঝড় আর বজ্রপাতে
মাথা নুয়েছিল জমিনের রাশি রাশি ধান
পরাধীনতায় পুষেছিল নোনাজল
নিয়মের শেকল ভেঙে
হাজার শ্লোগান ভাসিয়েছিল জোয়াল আর মজুরের ঠোঁট
এ গাঁয়ে পাতার বাঁশি বাঁজে বৈশাখদিনে
চাষার পায়ে পায়ে খড়ের কুচকাওয়াজ
করগোনা আঙ্গুলের ভাজ বুঝে নেয় লাজধোয়া রকমারী ফুল-
ফলের সাজে দেখা হয় জ্যৈষ্ঠমেলায়।