সংগ্রহঃ কাব্য মোস্তফা
[চলমান সময়ের একজন প্রতিশ্রæতিশীল কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, কলামিস্ট ও রাশেদুল ইসলাম সাজ্জাদ ৬ জুলাই ১৯৭৮ ইং সালে মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলাধীন সব্দালপুর নহাটা গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোহাম্মদ সাখাওয়াৎ হোসেন মোল্লা একজন মুক্তিযোদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। মাতা মোছা: জবেদা সাখাওয়াৎ, একজন গৃহিনী। সাজ্জাদ ৮ই জুন ২০১২ মোছা: উম্মে সালমাকে বিবাহ করে সংসার জীবনে প্রবেশ করেন।
কর্মজীবনের শুরুতে ১৯৯৪ সালে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার স্টাফরিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিকতা জীবনে প্রবেশ করেন পরবর্তীতে একটি দৈনিক পত্রিকার স্টাফরিপোর্টার এবং সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দৈনিক বীরদর্পণ, দৈনিক শ্যামবাজার, দৈনিক ভোর এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সকালবেলা পত্রিকার স্টাফরিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ভিশন মেডিটেক কোম্পানী, ঢাকা-তে দীর্ঘ ৭ বছর কর্মরত ছিলেন।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি সাহিত্য চর্চায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন সবসময়। সম্পাদনা করেছেন (অনিয়মিত) মুক্তপ্রবাহ, নীলকণ্ঠ ও সাপ্তাহিক আদিবাসী পত্রিকা। দেশের বিভিন্ন পত্রিকায় তার লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছে। সাপ্তাহিক গ্রামবাংলা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, “ইতিহাসে অম্লান মাগুরা জেলা,” দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় প্রকাশিত, “বগুড়ার মহাস্থানগড়ে ইতিহাসের সন্ধানে” এবং “রাজা সীতারাম রায় ও ভূষণা রাজ্যের ইতিহাস।” তার একমাত্র প্রকাশিত গ্রন্থ “মাগুরা জেলার শিল্পী ও সাহিত্যিক (প্রথম খন্ড) যা প্রকাশ হয়েছিল ২০১০ সালে একুশের বইমেলায়। প্রতিশ্রæতিশীল কবি সাজ্জাদ তার এক কবিতায় বলেছিলেন, “শুধু মায়া মমতাকে ছেড়ে উড়ে যেতে পারিনা/ তোমাকে দেখার জন্য আমি পৃথিবী ঘুরি/ খুঁজে মরি বারবার আশার দুয়ারে,” [আশার দুয়ারে]। ১৩ই নভেম্বও ২০১২ ইং সালে তিনি তাঁর প্রিয়তমা সন্তানসম্ভবা স্ত্রী, পিতা, মাতা, ভাই ও অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন।]
ভালবাসা
দৃষ্টির বিহ্বলতায় নয়, শ্রবণের তৃপ্তিতে নয়, নয়াপ্রাপ্তির পরমানন্দে।
পঞ্চইন্দ্রীয়ের সকল আবেশ ব্যতিরেখে, চোখ বুঁজে মন থেকে
যে মনকে ছোঁয়া যায়, সে-ই তো ভালবাসা।
সে-তো স্মরণের তীব্র যন্ত্রণায় প্রাপ্ত নিগূঢ় আনন্দ;
চাওয়া পাওয়ার বেড়াজালে নয় সে আবদ্ধ।
অদৃশ্য, মুক্ত অবস্থান তাঁর
না পাবার ব্যর্থতায় না হারিয়ে কষ্টের তীব্রতায় যা প্রজ্জ্বলমান।
হৃদয়ে আবেগ যখন প্রজ্জ্বলিত হয় তখন তা রাতের তারার মতোই জ্বলজ্বলে
আবেগহীন সময়ে দিনের তারার মতো
আলোবিহীন সার্বক্ষনিক অবস্থান তার।
প্রজাপতি
রাতের তারাগুলি আমার চোখের প্রতিবেশী
শত দুঃখের মাঝে তারা যেন অমরত্বের সাথী।
হিজল বন আর মধুমতি নদীর তীরে বন্ধুর বাড়ী
যেখানে মধুর ভালবাসা, স্বর্গপরশের ছড়াছড়ি।
মাগো, আমি সুখেই সেখানে তোমার পরশ খুঁজি
মৌ-ভরা ধান, দুষ্টু মেয়ের হাসি, এ দেশ যেন স্বর্গ-
যেখানে হাজারো পাখি মেলেছে ডানা,
উড়ছে শতরঙের প্রজাপতি…
(রচনাকালঃ নভেম্বর,২০০৫)