রহস্যের জন্ম
এক
যা তৈরী করি তা-ও তৈরী ছিল কি-না অতীতের সৌরঘরে, কেউ যদি জানাতো! এ ঘর আমার দেহ তৈরীর কারখানা বলে প্রকৌশলী হয়ে যাই তোমার ভাবমূর্তি নির্মানে। বাসযোগ্য অধিবাসীরা ভ‚গোলের যতটুকু জানে, তারা ততটুকুই ফেরি করে কোন এক বইয়ের দোকানে, যেখানে সবাই পরিচিত ভ‚গোল পড়ে আর ভুল করে বসে থাকে ফায়ারহাউসের দিকে মুখ করে। আমি কোন মুখ দেখিনা, যেতে চাই সময়ের দেয়াল পেরিয়ে নতুন কোন গ্রহের সম্মুখে, জন্মাতে চাই স্বয়ং ঈশ্বরের কোলে আজকের প্রেমপ্রতিভা সঙ্গে নিয়ে।
চলতি রিয়েলিটি শো আগামী বিশ্বে কেমন দেখাবে, খোঁজ নিতে উড়ো চিঠি পাঠিয়েছি ভূতপূর্ব হাওয়ার কাছে। হাওয়া বাঁচে ও বাঁচায় বলে শূন্য ট্রলি ঠেলে ঠেলে সে চলেছে রয়্যালিটি নিতে মানুষের দিকে। মানুষ তো শুধুই উধাও হয়ে যায় অবিনাশী চেকআউটের কাছে এসে। সময়ের কথা না ভেবে নতুন বূহ্য বানাই, কখনও কখনও আকারের ধারণা আমাকে সাময়িক হারায়। মূলতঃ তৈরী হয় না নতুন কিছুই, কেবলই পড়ে ছিল আর পড়ে থাকে স্থানের রহস্য… যেখানে একমাত্র রহস্যের জন্ম হয়…
দুই
ক্ষুধা লাগলে গ্রহ-নক্ষত্র খেয়ে জ্ঞানী হই, তাই দিয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠে বসে সাহিত্যের স্টুডেন্ট পড়াই, শূন্য পয়সায়। রহস্য তৈরীর কারখানায় কাজ পেয়েছি। এখন একটু থাকার জায়গা চাই..