বীরেন মুখার্জী এর কবিতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

রমণীনিসর্গে, বিষণ্ন সঙ্গীত

পুনর্জন্মের ঘুম মেখে এই তো নিবিড় জগে থাকা
আলোদীর্ণ রাতের সম্পাত; চল্লিশ হেমন্ত খুঁজে
প্রতিদিন রক্তস্নান, আকাশ-বাতাস ব্যেপে
ভেসে যায় পতিত চিৎকার

তোমাদের দ্রোহের কঙ্কাল খুঁজে বিব্রত স্বজন
রক্তের বেদীতে তোলে ঋণের পরিধি
জন্মে ও জিজ্ঞাসায় আহত শব্দ যত, স্মৃতিভারাতুর মেঘ
জগদ্দল পাথর। শুয়ে থাকে ঘুমহীন চোখে;

প্রপঞ্চের পাখিরা ওড়ে আজও রমণীনিসর্গে
স্মৃতিরঙ রোদ ছুঁয়ে বিজয়ের বিষণ্ন সঙ্গীতে।

আড়াল

যদি যাই, পথ ভুলেঅজস্র যন্ত্রণার আড়ালে
পরস্পর দুঃখের বেসাতি বয়ে, কোনোদিন…
ছেঁড়া কাগজের মতো দুঃস্বপ্ন কুড়িয়ে
যদি সন্ধ্যা নামে অকাল বর্ষণে…
তবু নগরীর ব্যস্ত উদ্যান একা হবে না আর!

এই সব জল-ধ্বনি, নাগরিক জানালায়-অষ্টপ্রহর
ইচ্ছেঘুড়ির পতন দ্যাখে; দ্যাখে-ফুলের গহনায়
হেসে ওঠা দূরতমা, শ্যামল কিশোরী।
যে বনে রামের বনবাস সেখানে অসংখ্য রাবণের সংস্রব
দেখে দেখে ডুবে যাওয়া পাতাল দর্শনে…

চোখের তারায় মুদ্রিত হলে তুমুল বৃষ্টির ধারাপাত
হেমন্তের মরা মাঠ ছুঁয়ে যায় জীবনের অলিগলি।

২.
আঁধার দেখে পেরিয়ে যাই দুঃখের নদী
অনাবৃত আকাশ ঘোমটা টেনে হাসে
কুয়াশা বুনে যায় হেমন্ত কন্যা, ধানশালিকের দেশে

নিদ্রাতুর আমাকে টেনে নেয় ভূগোল উষ্ণ রাত
ডোরাকাটা অভিমানী মেঘ।

মন্তব্য: